দিনটি ছিল পহেলা বৈশাখ সূর্য উঠার পূর্বে মধ্য রজনীর জোছনায় আকাশের বুক চিরে পৃথিবীর কোলে জন্ম নিল এক টুকরো চাঁদ। ৯ টি মাস অনেক কষ্ট দিয়েছি মাকে কিন্তু পৃথিবীর স্বাদ পেতেই আমি শুধু মা এর নই, আমি বাবার, আমি দাদার, আমি নানার, আমি নানুর কত নতুন পরিচয়ে আমি পরিচিত, কত নতুন নামে আমি চিহ্নিত আমার একটি জাত আছে, একটি বংশ আছে আমি শুধু মা এর নই, আমি কত শত পরিচয়ে পরিচিত আমি খুবই স্বার্থপর………………… আমার মুখের হাসি দেখে মা ভুলে গেছে তার যন্ত্রণার ৯ টি মাস মা এর মুখে হাসি দেখে আমি ভুলে গেছি আমি মা এর নাড়ি ছেঁড়া স্পন্দন আমি খুবই স্বার্থপর……………… প্রথম সন্তান ছেলে হবে এমনটাই কামনা ছিল সবার দাদা দাদি মেয়ে হয়েছে বলে অসন্তুষ্ট যদিও নাতনির মুখ দেখে অভিমান এর রেশ আর ছিলনা অথচ, মা যখন বাবার সাথে অভিমান করত আমি তখন বাবার সাথে চলে যেতাম দাদু বাড়ী মা চোখের জলে আমার পথ চেয়ে থাকতো আমি খুবই স্বার্থপর………… নানু বাড়ী বড় হয়েছি তাই নানু, নানা, সবাইকে অনেক বেশি ভালোবাসি চাচা ফুফুদের খুব সম্মান করি কিন্তু কতটা ভালোবাসি বলতে পারবনা আমি খুবই স্বার্থপর……… স্কাউট করতাম বলে প্রিয় শিক্ষক আতিক স্যার অনেক বকাবকি করত বলত, তোমার পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে, এসব বাদ দিয়ে পরালেখায় মন দাও তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারছি স্যার কেন বলত আমি অবাধ্য ছিলাম আমি খুবই স্বার্থপর……………। (রবীন্দ্রনাথ বলেছে, প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম … অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়”) প্রেম এসেছিল নিরবে অভিমানে বিলীন হয়েছে বিলাসী মন, অভিমানী যৌবন আমি খুবই স্বার্থপর…………।। বিনে সুতোয় মালা সবাই গলে পরে, আমিও পরেছি আজীবনের স্বপ্ন বুনেছি কৃষ্ণতলে প্রতিটি স্বপ্ন এক একটি পদ্য, এক একটি গদ্য কিন্তু বিদিশার নেশায় খসে পড়া তাঁরার মত মাঝে মাঝে আমার স্বপ্নগুলো খসে পরে…………… আমি যুদ্ধ চাইনা, আমি শান্তি চাই যদি চাইতাম, তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তোমার সাথে আবার হত কিন্তু সেই যুদ্ধের শান্তিচুক্তি কখনই হতোনা কারন, আমি সত্যি বড় স্বার্থপর…………।