বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় পড়ল টাইগাররা। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৪৩ রান করেই সবকটি উইকেট হারিয়েছে। দলীয় ১০ রানে তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। ৬ রান যোগ করতে না করতেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মমিনুল হক। ২ রান যোগ করতে না করতেই মুশফিকুর রহীমকেও হারায় বাংলাদেশ। ১৮ রানে মুশফিককে হারানোর পর একে একে সাজঘরে ফেরত যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান ৬২ রান। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে এই লজ্জার রেকর্ডটি করেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা রয়েছে নিউজল্যান্ডের। তাঁরা ইংল্যান্ডের সঙ্গে করেছিল মাত্র ২৬ রান। এদিকে বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাঁদের দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ প্রথমাবারের মতো টেস্ট খেলতে নেমেছে। কিমার রোচ এক ওভারেই দলের ৩ জন সিরিয়র খেলোয়াড়কে আউট করে প্যাভিলিয়নে পাঠান। তাঁর করা ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান মুশফিক। এক বল পরেই আউট হয়ে যান সাকিব। তাঁর পরের বলেই আউট হয়ে যান রিয়াদ।

দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেখানে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেনি সেখানে অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের থেকে কি বা আশা করা যায়। রিয়াদ আউট হয়ে যাওয়ার পর বাকিরা সবাই আশা যাওয়ার মধ্যেই ছিল সবাই। বাংলাদেশ ভালো খেলার প্রত্যয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যায়। আজ প্রথম টেস্টে পুরোদলকে সাজানো হয়েছিল ব্যাটিং নির্ভর একটি দল হিসেবে। মুশফিকের মতো একজন উইকেট কিপার থাকার পরও সোহানকে নেওয়া হয়। কি লাভ হলো ব্যাটিং দল নামিয়ে যেখানে বাংলাদেশকে পড়তে হলো সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ডে।

কিমার রোচ একাই নেন ৫ উইকেট। তিনি ৫ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছেন ৮ রান। এছাড়া জো হোল্ডার ৪.৪ ওভার বোলিং করে ১০ রানে নেন ২ উইকেট। কাম্মিন্স ১১ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট।