বরিশাল সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম নারী মেয়র প্রার্থী হয়েছেন বাসদ নেতা ডাঃ মনীষা চক্রবর্ত্তী। তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নগরী চড়ে বেড়ালেও এ পর্যন্ত আসতে পদে পদে করতে হয়েছে লড়াই-সংগ্রাম। তাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক ও ব্লগার নিঝুম মজুমদার।

তিনি লিখেছেন, ডাঃ মনীষা চক্রবর্তীর ব্যাপারে যতদূর পারা যায় খোঁজ খবর করলাম অনলাইনে। পরিচিত ব্যাক্তিদের কাছেও তাঁর ব্যাপারে জানলাম। সবাই খুব প্রশংসা করলেন। সংযুক্ত ভিডিওতে খুব ভালো লাগলো তাঁর বক্তব্য, তাঁর প্রতিশ্রুতি, তাঁর পরিকল্পনা। মনে হোলো এই মেয়েটি পারবে বরিশাল বদলে দিতে। অবশ্য বামদের কয়েকটা বদ অভ্যেস হোলো সবকিছুতে সাম্রাজ্যবাদের ভূত দেখা, বুর্জোয়া খোঁজা এবং পুস্তক সম্বলিত ভারী ভারী তত্ব আওড়ানো। বুঝতে হবে সাধারণ পাব্লিক কেন বামদের অধিকাংশ কথা শুনে হাই তোলে আর ঝিমায়। আশা করি বামদের এইসব দূর্বলতা কাটিয়ে জনতার স্বপ্নের ভেতর ঢুকতে পারবে মনীষা। জনতার জন্য লড়াই করবে ডাঃ মনীষা।

মনীষার সাথে অন্য দলের যারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন তারা চিহ্নিত ব্যক্তি। ওদের কর্মকান্ড বহু আগের থেকেই জানা। এরা সুযোগ পেলেই লুটে পুটে খাবে পুরো বরিশাল। যেমন এদের আত্নীয়-স্বজনেরা খাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই বরিশাল সিটি মেয়র নির্বাচনে আমার সকল সমর্থন মনীষার জন্য। এমন তারুণ্য শক্তি, এমন শিক্ষিত, এমন সচেতন ব্যাক্তিরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসুক। বদলে দিক সব। এটাইতো আমাদের লড়াই। এ কারনেই তো এত লেখালেখি, এত কথা।

আপনারা যারা বলেন অল্টারনেটিভ শক্তির কথা, আপনারা যারা জিজ্ঞেস করেন কাকে ভোট দেব? অপশন কি? তাঁদের জন্য ডাঃ মনীষা। এবার বরিশালের ভোটার রা ভোট দিন মনীষাকে। নিজ জেলার ভালো মন্দ নিজেরা বুঝুন। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরা গড়ুন।

প্রসঙ্গত, বরিশালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চলমান প্রচারণায় সর্বমহলে আলোচিত মেয়রপ্রার্থী ডা: মনীষা চক্রবর্তী। পেশায় চিকিৎসক মনীষা চক্রবর্তী গত কয়েক বছর ধরেই বরিশালের রাজনীতিতে একজন আলোচিত মানুষ। বরিশালের নাগরিকদের বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময়ই রাজপথে ছিলেন সোচ্চার ও অগ্রণী ভূমিকায়।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) থেকে মনোনীত হয়ে মই প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন ডা: মনীষা চক্রবর্তী। তিনি বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বরিশালের সদস্য সচিব। বরিশাল নগরীতেই তার বেড়ে ওঠা। শিক্ষাজীবন শুরু করেন বরিশাল নগরীর মল্লিকা কিন্ডারগার্টেনে। তিনি বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন এবং বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

এরপর ৩৪তম বিসিএসে নিয়োগ পেলেও সরকারি চাকরিতে যোগ না দিয়ে তিনি যুক্ত হন বাসদের রাজনীতিতে। রাজনীতি করলেও চিকিৎসা পেশা ছাড়েননি তিনি। শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ ও বস্তির সাধারণ মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে ‘গরিবের ডাক্তার’ খেতাব পান তিনি।