গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ৭টি ঝুটের গুদামে বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় সোয়া ৩ ঘন্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছিল তারা।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ির দেউলিয়াবাড়িতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় জেলখানার পাশের দেলোয়ার হোসেনের একটি ঝুটের ঝুটের গুদামে বুধবার রাত পৌণে ৮টার দিকে আগুনের সূত্রাপাত হয়। মুহুর্তেই আগুন পাশাপাশি স্থাপিত মো. সগীর, তাজুল ইসলাম, রমজান আলী, আবুল হাশেম, রতন মিয়া ও তুহিন মিয়ার ঝুটের গুদামে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুনের ভয়াবহতায় পার্শ্ববর্তী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় জেলখানার নিবাসী ও কর্মরতদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেয়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, কাশিমপুর ও সাভার ইপিজেড ষ্টেশনের ৭টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কারা কর্মকর্তাগণও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় সোয়া ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে গভীর রাত পর্যন্ত ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছিল তারা। স্থানীয় ইউসুফ মেম্বারের জমিতে নির্মিত ওই ৭টি গুদাম ও গুদামে রাখা মেশিনপত্রসহ মালামাল আগুনে পুড়ে যায় ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে আগুনের সূত্রাপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি।

কাশিমপুর কেন্দ্রিয় কারাগার, পার্ট-২ এর সিনিয়র সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, কারাগারের পাশে রাতের এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রথমে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিলেও পরবর্তীতে তা কেটে যায়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শণে যাই এবং পর্যবেক্ষণ করি। তবে অল্প দুরে হওয়ায় আগুনের শিখা কারাগারের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন। ফলে এ ঘটনায় কারাগারের জন্য ঝুকির কিছু নেই।