৭ মাস আগে কাজ শেষ হলেও আজও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। ঠিকাদারের কাজের ধীরগতিতে হাসপাতালটি হস্তান্তর না করায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারছে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটি হস্তান্তর করা হবে।

ফ্লোরে কিংবা সিঁড়ির ফাঁকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। প্রতিদিন একশ’ শয্যার মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ রোগী। ফলে চাহিদা মতো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না তারা। তাই রোগীদের কথা মাথায় রেখে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একশ’ শয্যার সদর হাসপাতালটি আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। অভিযোগ রয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতিতে আজও চালু করা সম্ভব হয়নি হাসপাতালটি। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম জানান, গণপূর্ত বিভাগ আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালটি হস্তান্তরের পর চালুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, সামগ্রিকভাবে অক্সিজেনপ্লান্ট সেটার কাজ কিছুটা বাকি আছে। এগুলো সব কাজ শেষ হলে পিডব্লিউডি আমাদের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করবে। এরপর লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে এগোব।

অবশ্য গণপূর্ত বিভাগ বলছে, কাগজে-কলমে অনেক আগেই কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই শিগগিরই হাসপাতালটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী আবু-সালে মোহাম্মদ ফিরোজ বলেন, শেষ একটা মিটিং হয়ছিল মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে, তখন আমি বলেছিলাম যে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আমরা কাজ শেষ করে দেব। কাজ শেষও হয়ে গেছে, এখন ওই যে ত্রুটি-বিচ্যুতিসহ তো আমরা হ্যান্ডওভার করতে পারি না।

এদিকে ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন গড়ে জেলার একশ’ শয্যার সদর হাসপাতালে ৫ শতাধিক রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে থাকেন।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।