মৃত্যুকে ভয় পায়না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুঃস্কর হলেও অসচেতনতা ও গুরুত্ব অনুধাবনের ক্ষেত্রে অকাল বা অপ্রত্যাশিত মৃত্যুকে অনেকেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই আলিঙ্গন করতে গা ভাসিয়ে চলাফেরা করছে। বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর দেশগুলো মৃত্যুপুরিতে পরিণত হলেও আমাদের সাবধানতার সুক্ষ কীটগুলোকে আমরা ফাংশনাল না করে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েই দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের প্রতি অতিউৎসাহী হয়ে পড়েছি। অনুধাবন শক্তির ডিভাইসগুলো অনেকের ক্ষেত্রে অকার্যকর প্রায়। অনেকের বিবেচনা শক্তিতে অনুভূতি নেই বলেই অনুধাবন করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ তান্ডব অগ্রভাগে অনুধাবন করতে না পারায় এবং প্রভাব হালকা ভাবে বিবেচনা করার কারণে উন্নত দেশগুলো মৃত্যুর অনুপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভুলের খেসারত দিচ্ছে। এই মৃত্যুর আধিক্য আমরা দুমাস আগ থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় জেনেও উন্নত দেশগুলোর খামখেয়ালিপনার পুনরাবৃত্তি করে চলছি।

করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুধু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে খ্যান্ত হচ্ছেনা, এটার পরবর্তী ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া প্রতিটি ভিকটিম দেশকে খুব সহজে অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক মুক্তি দিতে সক্ষম হবেনা বলেই প্রতীয়মান। চলমাণ একটি ইঞ্জিন হঠাৎ ফুয়েল সংকট বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেলে পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে অপারেটরকে বাধ্য করে, ঠিক বসে যাওয়া অর্থনীতি ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনমানের গতির প্রশ্নে নতুন করে প্রস্তুতি নিতে বাধ্য করবে। নতুনভাবে প্রস্তুতির জন্য প্রযোজ্য রসদ ও আনুষঙ্গিক সাপোর্টের অভাববোধ ঘুরে দাড়ানোর জন্য অন্তরায় এবং সংকট সৃষ্টি করবে।

তালা ঝুলছে প্রোডাক্টটিভ সকল খাতে, অবরুদ্ধ হয়ে আছে উৎপাদনশীল বিলিয়ন বিলিয়ন হাত। লক ডাউনের কারণে বিশ্বের করোনা ভিকটিম দেশগুলোর উৎপাদনশীলতা ও জনজীবন হুমকির মুখে পতিত হলেও ব্যাতিক্রম শুধু আমার গর্বিত বাংলাদেশ। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভাইরাস থেকে বাচার জন্য আমরা উৎপাদনশীল খাতগুলোর গর্বিত হাতগুলোকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হলেও ভয়ংকর জনসমাগম পুরোপুরি থামিয়ে দিতে পারিনি, যা দেশের উৎপাদনশীল মানুষের বিশ্বস্ত বিলিয়ন হাততে যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহতার চিত্রে পরিনত করার সক্ষমতা রাখে। বিভিন্ন দেশের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে আমারা শিক্ষা নিতে পারিনি, পারিনি মৃত্যুকে কিভাবে জয় করে নিজ পরিবার ও দেশকে সুরক্ষিত রাখা যায়। আমরা কিন্তু যথেষ্ট সময় পেয়েছি নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতে কিন্তু দুর্ভাগা ও কথিত যুক্তিবিদ্যায় পান্ডিত্য অর্জনকারী বাংলাদেশের মানুষ অনুমান নির্ভরতায় আস্থাশীল হয়ে নিজ পরিবারের পাশাপাশি অন্যদের জন্য এক একটি এটম বোমা ক্যারি করে চলেছি, যা আমাদের এই হুজুগি চলাফেরায় বিস্ফোরিত হয়ে বড় ধরনের হতাহতের দৃশ্যমাণ চিত্রের সৃষ্টি করতে পারে। আমরা কেউই এমন ভয়ানক চিত্র দেখতে চাইনা, কিন্তু এটাকে প্রতিহত করার জন্য নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাংগুল দেখাতেও কার্পণ্য করছি না। কি আজব সব চরিত্র আর অনুশীলন আমরা অন্তরে লালন করে আসছি। এরাই বীরের জাতি, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও করোনা ভাইরাসকে নিয়মিত একই পাল্লায় ওজন করে অন্যদেরও কাউন্সিলিং করে বেড়াচ্ছে।

বিভিন্ন ইস্যুতে নানা সময়ে সারা বিশ্বে মানবতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হলেও বাংলাদেশে মানবতাবাদীরা সারাক্ষণ মুখেমুখে হলেও সক্রিয় ছিলো। কথিত মানবতার জমে যাওয়া অভিশাপের দায়মুক্তি হিসেবে দেশের অনেকেই এখন মানবতার যোদ্ধা। সারাজীবনের মানবতার দায় পরিশোধ করতে এটাই মোক্ষম সময় হিসেবে অনেকে ক্যামেরাবন্দী হয়ে আগাম ভবিষ্যৎকে পরিপক্কতায় রূপায়ণ করছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু মানবিক কাজ যে কিছু ক্ষেত্রে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশী বয়ে আনে , তা আমরা হয়তো কথিত যুক্তিবিদ্যা দিয়েই অনুধাবন করেছি বিধায় লোক দেখানো এই মানবতা সার্বিক বিবেচনায় শুদ্ধাচারের ইঙ্গিত বহন করেনা।

সমাজের বিত্তবান মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠন দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানবতার হাত সম্প্রসারিত করবে এটাই নিয়ম এবং সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু ভিকটিম জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে সরকারের নির্দেশনা মেনে যে প্রক্রিয়ায় অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে, সে বিষয়ের প্রতি আমরা কতটুকু শ্রদ্ধাশীল ও পরায়ণ , সেটাই মূখ্য বিষয়। জনসমাগম রোধকল্পে হোম কোয়ারেনটাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করার আহবান থাকলেও আমরা নিজেদের শো অফ করার জন্য অসচেতন ও অভুক্ত শ্রেনীর মানুষগুলোকে একীভূত করে একটি পুলিন্দা বন্টন করতে দশ বারটি হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। বাহ! দুর্ভাগ্য আমাদের। সস্তায় জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে নিরাপদ জনগোষ্ঠীকে আমরা অনিরাপদ করতে একটি পুলিন্দা দিয়েই টোপ ফেলাচ্ছি। ওরা অভাবী, ওরা ক্ষুধার্ত, ওরা অসচেতন, ওরা অক্ষরজ্ঞানহীন, ওরা পরিস্থিতির শিকার বিশাল এক জনগোষ্ঠী। ওদের ক্ষুধার চাহিদাই বাচার তাগিদে ওদের অন্ধত্ব বরণে বাধ্য করেছে, কিন্তু আপনিতো সচেতন, দানবীর ও শিক্ষিত। আপনি কেন ওদের অত্যাবশকীয় প্রয়োজনীয়তাকে মৃত্যুকূপে পরিনত করার পায়তারা চালাচ্ছেন! এটা মানবতা নয়, এটা ব্যক্তিসত্তার আপগ্রেডেশনের জন্য কথিত মানবতা নামক ঘৃনিত বানিজ্যর দৃশ্যায়ন মাত্র , যা দেশের মানুষের বেচে থাকার প্রশ্নে থ্রেট বা প্যানিক।

প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী সারাজীবনই ধনবান ও লিডিং শ্রেণীর মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নের ধারক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। চলমান পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেনটাইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা বহুলাংশে উপেক্ষিত হচ্ছে আমাদের আমজনতার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। আমরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হই, প্রশাসনইবা আইনসিদ্ধভাবে উদ্দুদ্ধ পরিস্থিতি নিশ্চিত করার কতটা সক্ষমতা রাখে। কঠোর হস্তে নিশ্চিত করতে গেলে কথিত মানবতাবাদীরাই রাস্তায় নেমে আসে বা বিভিন্নভাবে সোচ্চার হয়।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠী/ নিন্ম আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা বিবেচনায় মুভমেন্ট ক্ষুদ্র মাত্রায় আনার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা হলো দুমুঠো ডাল ভাতের প্রশ্নে। এই প্রতিবন্ধকতা উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিজের নিজস্ব তহবিল থেকে দৈনিন্দিন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঘরেঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যবিত্তের জন্যও বিনামূল্যে নিসংকোচে হট লাইন ব্যবহার করে সাহায্য চাইলে বিনামূল্যেই বিতরণের ব্যবস্থা চালু করেছে। চালু রয়েছে সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য পুলিশের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। চাহিদা অনুযায়ী মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে আপনার ঘরে পৌছে যাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি। এই সকল সুবিধার পিছনে উদ্দেশ্য একটাই, তা হলো জনসমাগমকে একদম নিন্মমূখী করে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখা। কিন্তু ব্যক্তি পর্যায়ে অনুদানের চিত্র পরিস্থিতি বিবেচনায় সাংঘর্ষিক।

উন্নত দেশগুলোতে চলমান পরিস্থিতিতে মুভমেন্ট শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কিন্তু জেল, জরিমানা ও গুলির অর্ডার পর্যন্ত রয়েছে, যা আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় লক্ষ্য করেছি। অথচ বাংলাদেশ সরকার মানুষের প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে অন্যদেশের তুলনায় এখনো অনেকাংশে লিবারেল রয়েছে শুধু সার্বিক স্বার্থে। এই সহনশীলতার অর্থ এই নয় যে, আমি এই মুহুর্তের জন্য স্বাধীনচেতা। বারমাসি স্বাধীনতায় আমরা অভ্যস্ত হলেও উদ্দুদ্ধ পরিস্থিতিতে আইন কানুনের শিথিলতা / সংবিধিবদ্ধতা মেনে চলাও স্বাধীন দেশের মার্জিত নাগরিক হিসেবে আপনার বাহ্যিক আচরণের মধ্যে পড়ে। তাহলে আমরা অনেকেই শুদ্ধাচারের কোন লেভেলে আছি, একটু ভাবার সময় এসেছে। কারণ বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেলে খুব অল্প সময়েই মৃত্যু হার ম্যাসিভ আকার ধারণ করতে পারে, যা আমাদের সক্ষমতা দিয়ে নিবারন করা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে বিধায় সচেতনতা ও সাবধানতাই পারে এই মহামারি থেকে অনেকাংশে রক্ষা করতে।

ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রশ্নেও রয়েছে বহুমাত্রিক চেতনা। সৌদি আরবের মতো মুসলিম তীর্থস্থানে পুরোপুরি লক ডাউন করা হয়েছে। মানুষের মঙ্গল কামনা ও সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে আরব সরকার মুসলিম বিশ্বের মুসল্লীদের জিয়ারত /আরাধনা পর্যন্ত মক্কা মদিনায় বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য কিন্তু মানুষের অকল্যাণকে মাথাচাড়া দিতে ধর্মের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা আছে। উন্নত মুসলিম দেশ হিসেবে সৌদি আরব যদি মানব কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে জনসমাগম নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ধর্মীয় অনুভূতি অটুট রেখে আইন জারি করতে পারে, তাহলে আমাদের প্রতিবন্ধকতা কোথায়! পরিস্থিতি বিবেচনায় মহান আল্লাহর ইবাদত প্রযোজ্যক্ষেত্রে নানান ভাবে পরিপালন করার কথাও কোরাআন হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে কিন্তু আমরা অতিউৎসাহী হয়ে বা ধর্মান্ধতা নিয়ে জমায়েত ব্যতিত সালাত আদায় করতে নারাজ। ইসলাম ধর্ম মানবতার ধর্ম, কল্যাণের ধর্ম। যেখানে মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সকল সুবিধা নিশ্চিত করার ফায়সালা কোরআন হাদিসে দেওয়া আছে। অথচ ধর্মান্ধতা নিয়ে একদম খাটি মুসল্লী হিসেবে সারা বছরের এবাদত এই মুহুর্তে করার জন্য আমরা অনেকেই উদগ্রীব হয়ে আছি। সকল ভালমন্দ পরিস্থিতির জন্য বিকল্প করণীয় নির্দেশক হিসেবে কোরআনই একমাত্র গ্রন্থ, যা মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার জন্য যথেষ্ট। এই ক্ষেত্রে ধর্মীয় পন্ডিতদের ভিন্নভিন্ন বক্তব্যও আমজনতার কথিত যুক্তিবিদ্যা জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে অনেকটা অন্তরায়।

চলমান সংকট পরবর্তী ক্রান্তিকালের কথা মানবতাবাদীরা অনুগ্রহ করে এসাইনমেন্টের মধ্যে রাখুন। এখন কিন্তু আসল ক্রান্তিকাল নয়। কর্মহারা অভুক্ত মানুষগুলো এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পেলে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে নতুন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়াতে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হবে। গ্লোবাল ইকোনমির কথা ভেবেছেন! বিভিন্ন দেশের অনেক কর্মসংস্থান লে অফ হয়েছে। নতুন সম্ভাবনার দ্বার মোটেই খোলা নেই বরং দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কর্মস্থানগুলো পূনরায় চালু করতে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে। স্বল্প আকারে চালু হলেও কর্মহারা মানুষগুলোর অধিকাংশ বেকার হয়ে পড়বে। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত যে সকল দেশ আমাদের পোশাক খাতের ক্রেতা, তাদের ঘুরে দাড়াতে নূন্যতম আগামী একবছর সময় নিবে। এই সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বে দেখা যাবে মারাত্মক আর্থিক দৈন্যতা। আমাদের দেশের যে সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠান অন্যদেশের কাচামাল নির্ভরতায় গড়ে উঠেছে, সে সকল দেশের অবস্থা খুবই নাজুক বিধায় অর্থনীতি মারাত্নক হুমকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়াটাই স্বাভাবিক বিধায় বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত আগামী একবছর আমাদের দেশের মানুষের জীবন জীবিকা ভিন্নতায় রূপ নিতে পারে। আলোচিত সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে জীবন বাচানোর তাগিদেই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের বিশাল একটা সংখ্যা নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন আইনবহির্ভূত কর্মকান্ডে জড়াতে পারে বলে প্রতীয়মান। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মানবতাবাদী ও তাদের সংগঠন সহ সরকারের তরফ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সাবসিডির প্রয়োজন হবে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে পরবর্তী ক্রান্তিকালের কথা মাথায় রেখেই আমাদের মানবতার হাতগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবানদের শুদ্ধাচার নির্ভরতায় প্রস্তুত হওয়া দরকার। আল্লাহ আমাদের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সকলকে সুরক্ষিত রাখুক। উন্নয়নশীল বাংলাদেশ এগিয়ে যাক কাঙ্খিত লক্ষ্যে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের প্রত্যয়ে।

মোস্তাফিজুর রহমান।
গোপালগঞ্জ।