মাধবপুর শাহজানপুর ইউনিয়নের তেলিয়াপাড়া বাংলোতে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে মহামারী করোনার কারনে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরার পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লোকমান হোসেন, মাধবপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর মনোয়ারা বেগম, নাছির উদ্দিন খান, দেওয়ান আব্দুল আওয়াল প্রমুখ।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা শাহজানপুর ইউনিয়নের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের কলাকৌশল ঠিক করার জন্য। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকতার্র উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহন করা হয়। উক্ত সভায় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে প্রথমে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয় পরবর্তীতে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।বৃহত্তর চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর জিয়াউর রহমানকে, বৃহত্তর কুমিল্লা, ঢাকা ও নোয়াখালী জেলার পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে গঠিত অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর খালেদ মোশাররফকে, বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলার পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব মেজর সফিউল্লাকে এবং বৃহত্তর কুষ্টিয়া, যশোর ও ফরিদপুর অঞ্চলের দায়িত্ব মেজর আবু ওসমান চৌধুরীকে দেওয়া হয়। কর্নেল ওসমানীকে মুক্তি বাহিনীর সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে কাজের সুবিধার্থে তা বৃদ্ধি করে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। ওই বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাকা গুলি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন।

জুলহাস উদ্দিন রিংকু
মাধবপুর( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি