গাজীপুরে জুয়া খেলার টাকা না দেয়ায় দুই সন্তানের জননী এক গার্মেন্টস কর্মীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন করেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঘাতক স্বামীকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ ছয়দানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম- আনোয়ারা বেগম (৩৫)। তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার বরকতপুর গ্রামের মমতাজ আলীর মেয়ে এবং একই জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার উত্তর পাটুয়া এলাকার শহিদুল ইসলামের (৪২) স্ত্রী।

জিএমপি’র গাছা থানার এসআই সাফায়েত ওসমান জানান, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ ছয়দানা এলাকার সোলায়মানের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চুক্তিতে কাজ করতেন আনোয়ারা। তার স্বামী শহীদুল ইসলাম ঢাকার মিরপুর এলাকায় থেকে রিক্সা চালাতেন। শহীদুল জুয়া খেলতেন এবং প্রায়শঃ স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিতেন।

তিনি জানান, শনিবার বিকেলে গাজীপুরের বাসায় আসেন শহীদুল। সন্ধ্যার পর তিনি জুয়া খেলার জন্য স্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন। আনোয়ারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দু’জনের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় শহীদুল তাদের সন্তান সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শরীফকে (১২) নিয়ে যেতে চাইলে আনোয়ারা বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ারাকে মারধর করতে থাকে তার স্বামী শহীদুল। একপর্যায়ে আনোয়ারা আত্মরক্ষার্থে বাসা থেকে বাইরে দৌড় দিলে শহীদুল তার পিছু নিয়ে ধরে ফেলে এবং বুকে, মুখে ও হাতেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে আনোয়ারা গুরুতর আহত হয়ে ডোবার পানিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় শরীফের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে এসে ঘাতক শহীদুলকে আটক করে গণধোলাই দেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ সহ শহীদুলকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং নিহতের স্বামী শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।