মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ১৭ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা শহরের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বৈঠক করলেন। তাকে মিডিয়া সেন্টারে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, মিডিয়া সেন্টারের প্রধান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শিবজিত নাগ।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির এক সময়ের প্রিয় আড্ডাস্থল মিডিয়া সেন্টারের এ বৈঠকে তিনি বলেন, আমাদের জেলাকে আমরা এগিয়ে নিবো সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এটি কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, মুলত: এটি একটি বৈঠক, আমাদের দেখা হলো, এখানেই তো আমি বসতাম, তাই প্রাণের টানে এখানে এসেছি প্রিয়মুখদের কাছে।

পাবনাকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। আধুনিক পাবনা গড়ে তুলতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। অচিরেই ইছামতি নদী খনন করার কাজ শুরু করা হবে সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে। এখান থেকে মানুষ ট্রেনে সরাসরি ঢাকা যাবে। পাবনা মেডিক্যাল কলেজের কাজ শুরু হয়ে যাবে। পাবনাতে শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। এখানে রাজনীতি করেছি বেড়ে উঠেছি, এই শহরের মাটি ও মানুষের কাছে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের দোয়াতে আজকে রাষ্ট্রপতি হয়েছি, ফলে আমার নিজস্ব দায়িত্বও অনেক। তিনি বলেন, এই শহরের প্রতিটি মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক আমার। আপনারা আমাকে দোয়াতে ও মায়াতে রাখবেন যেনো কিছু ভালো কাজ করতে পারি।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম, একান্ত সচিব দিদারুল আলম, চিকিৎসক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, চিকৎসক কর্ণেল এ কে এম ফজলুল হক, প্রধান কম্পটোলার মেজর তারেক হোসেন ভুইয়া, প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট বন্ধু প্রফেসর শিবজিত নাগ, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট বন্ধু লায়ন বেবী ইসলাম, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট বন্ধু রেজাউল রহিম লাল, রাষ্ট্রপতির ঘনিষ্ট বন্ধু মুক্তার হোসেন, সাংবাদিকদের মধ্যে এইচ, কে, আবুবক্কর সিদ্দিকী, এবাদত আলী, মোসতাফা সতেজ, আকতারুজ্জামান আখতার, কামাল আহমেদ সিদ্দিকী, আঁখিনূর ইসলাম রেমন, গোলাম খাজা সাদী, ছিফাত রহমান সনম, এস. এম আলাউদ্দিন, আহম্মেদ হুমায়ুন কবির তপু, শাহীন রহমান, আরিফ আহম্মেদ সিদ্দিকী, মোখলেছুর রহমান খান বিপ্লব, সুশান্ত কুমার সরকার, প্রবীর কুমার সাহা, আবুল কালাম আজাদ ও প্রেস ক্যামেরা পার্সন জিয়াউল হক রিপন অংশ নেন। উল্লেখ্য, প্রায় সোয়া এক ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রাণবন্ত এই বৈঠক চলে।