ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালানীর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শামীম মন্ডল (৩৫) ও মন্টু মন্ডল (৪৭) নামের দু’জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সীমান্ত বর্তী বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। তবে ঘাতক তরিকুল ইসলাম আকালকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী জানান, বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শামীম, মন্টু ও তরিকুলসহ পাঁচ-ছয়জন স্বর্ণের চারাচালানী ব্যবসা করে আসছিল। আর স্বর্ণ চোরাচালানীর টাকা ভাগাভাগী নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

নিহত শামীমের চাচাত ভাই কামরুজ্জামান জানান, তাদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগী নিয়ে বিরোধের কারণে বুধবার বিকেলে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের পনিআটি পাড়ার টেনা মন্ডলের ছেলের তরিকুল ওরফে আকালের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যায় বাঘাডাঙ্গা গ্রামের সামসুল মন্ডলের ছেলে শামীম ও একই গ্রামের মন্টু। তখন তরিকুল, শামীম ও মন্টু মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে তরিকুল ওরফে আকালের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে শামীম ও মন্টুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। সংবাদ পয়ে মহেশপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে দুটি গুলির খোসাা ও তীরধনুক উদ্ধার করেছে।

নেপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা জানান, তাদের মধ্যে চোরাচালানের টাকা পয়সা ভাগাভাগী নিয়ে বিরোধের কারনেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাহাবুর রহমান ঘটনার স্বত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতদের লাশ ঝিনাইদহ মর্গে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, আসামি ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।