ধর্ষণ ও যৌন কেলেঙ্কারিতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের একটি আদালত। একইসাথে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয় তাকে। ক্ষতিপূরণের এই টাকার যোগান দিয়েছে আলভেজের সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয় নেইমার। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি। এমন একজন অপরাধীকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করায় নেইমারকে ধুয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের ওয়ার্কাস পার্টির প্রেসিডেন্ট গ্লেইসি হফম্যান। খবর গোল ডট কমের।

গোলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুটবল এস্পানা নামক এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হফম্যান বলেন, ধর্ষক দানি আলভেজের শাস্তিটা অনুকরণীয়। এটা দেখিয়েছে, সমাজ যৌন হেনস্তাকারী আর নারীবিদ্বেষীদের বরদাস্ত করে না।

তবে নেইমারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই অর্থ সে নেইমারের কাছ থেকে ধার করেছে। সে ক্ষতিপূরণ দিয়ে শাস্তি কমিয়েছে, যা কিনা ভুক্তভোগীর সমস্যার সমাধান করবে না। এটা তাদের যন্ত্রণাও লাঘব করতে পারবে না।

দানি আলভেজকে সহায়তা করার দাবিটি ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ইউওএলের। তারা বলছে, ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সাজার পরিমাণ কমিয়েছেন আলভেজ। আর না হলে তার কারাদণ্ডের শাস্তিটা আরো বেশিই হতো। আর আলভেজের জরিমানার পুরো অর্থেরই জোগান দিয়েছে নেইমারের পরিবার।

প্রসঙ্গত, ধর্ষণ ও যৌন কেলেঙ্কারিতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের একটি আদালত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছিল আলভেজের বিরুদ্ধে। সে সময় বার্সেলোনায় খেলতেন এই রাইট ব্যাক।

আদালত রায়ে বলেন, ধর্ষণকাণ্ডে ভুক্তভোগীর কোনো প্রকার সম্মতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে বাদির করা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত।

বার্সেলোনার অডিয়েন্সিয়া প্রাদেশিক আদালতে বিচার শুরুর পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন আলভেজ। তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর ২৩ বছর বয়সী সেই বাদি নারীর সঙ্গে তিনি বার্সেলোনার নাইটক্লাব সাটনের একটি জায়গায় মিলিত হয়েছিলেন। কিন্তু তা হয় দু’জনের সম্মতিতেই।

ভুক্তভোগী সেই নারীর এক বান্ধবী জানিয়েছেন, সেদিন রাতে নির্যাতনের শিকার তার বান্ধবীর অশ্রুসিক্ত চোখ এখনো তার সামনে ভাসছে। সেদিন সে অঝোরে কাঁদছিল। আদালতে প্রমাণ হয় নৈশক্লাবটির একটি ছোট্ট বাথরুমে সেদিন আলভেজ নারীটিকে ধর্ষণ করেছিল।

উল্লেখ্য, আদালত আলভেজকে সাড়ে নয় বছর সেই নারীর থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সেইসাথে করা হয় দেড় লাখ ইউরো জরিমানা। যা যাবে ওই নারীর অ্যাকাউন্টে