দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করতে ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের তথ্য দেওয়ার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত। আর ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।

বুধবার রাতে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। এনটিআরসিএ’র পরিচালক (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) কাজী কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়ে, পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনা) থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্ত শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় এনটিআরসিএ’র অধিভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে চাহিদা প্রদান করতে হবে। পূর্বের কোনো গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় চাহিদা কোনোভাবেই বহাল থাকবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সকল শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে হবে। অফলাইনে, হার্ডকপিতে অথবা ই-মেইলে কোনো চাহিদা গ্রহণযোগ্য হবে না। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ই-রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে, কেবল তারাই শূন্য পদের তথ্য দিতে পারবে।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এনটিআরসিএ। এরপর থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত শূন্য পদ ধরে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৫০ থেকে ৫৫ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা থাকতে পারে। এই শূন্য পদের তালিকা চাওয়ার মাধ্যমে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হলো।