3শেখ সাদি/দৈনিক বার্তা : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ১৮ মাসে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি অপহৃত হয়েছে। এদের কেউ কেউ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তি পেলেও অনেকেই মুক্তিপণ দিতে না পারায় নির্মমভাবে জীবন দিয়েছেন। এ উপজেলার মানুষ এখন অপহরন ভয়ে আতংকিত ভাবে জীবন যাপন করছে। শুধু গত এপ্রিল মাসেই ৭টি অপহরনের ঘটনা ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলায়। স্কুল কলেজগামী শিার্থী ও তাদের পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে একই আতংক। সংঘবদ্ব একাধিক চক্র এই বানিজ্যর সাথে জড়িত বলে উপজেলা বাসী মনে করছে। পুলিশের হাতে আটক অপহরনকারী আব্দুল জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে ভংকর কিছু তথ্য।

প্যাকেজ:
গত ২২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের হারুনের অপহরনের পর কিডনী কেটে পাচারের ঘটনা জানাজানি হবার পর অনেক ভয়াবহ সব তথ্য জানা গেছে। গত বছর সায়েম নামে এক শিশুকে অপহরন করে তারও কিডনী কেটে নেয় অপহরনকারী চক্র। এ ঘটনার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিার্থীরা এখন স্কুল তো দূরে থাক সন্ধ্যার পরে বাড়ী থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছে। এই এলাকার অন্তত ১০টি গ্রামে অপহরন আতংক বিরাজ করছে। বেশ কয়েকজন অপহৃতকে পুলিশ উদ্ধার করলেও অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন অপহরনকারীদের হাতে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ার কারনে আসামীরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অপহরন থেকে বাদ যায়নি মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে ুদ্র ব্যবসায়ীরা। এত বেশী অপহরনের ঘটনা ঘটলেও গত দেড় বছরে মাত্র ২৭টি মামলার রেকর্ড রয়েছে উল্লাপাড়া থানায়।

অপহরন বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, এটি একটি আন্ত:জেলা অপরাধ চক্রের কাজ। তাদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

খুব শীঘ্র অপরাধীরা ধরা পড়ার পর আইনের মাধ্যমে বিচার হবে। তাদের শাস্তি দিতে পাড়লেই অপহরন কমে আসবে এবং এলাকাবাসীর আতংক দুর হবে বলে উপজেলা বাসী মনে করছেন।