1দৈনিক বার্তাঃ  দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের ২১ জন নেতাকর্মীর নামে রাস্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভূইয়া বাদি হয়ে জেলার আলোচিত এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জামায়াতের যে ২১ জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতার নাম রয়েছে তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের, দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারী আ. গফুর, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন জামায়াতের আমির প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, সদর ইউনিয়ন সেক্রেটারী মনিরুল আলম মুকুল, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাও. আব্দুস সাত্তার, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমির আবুল বাশার, হাউলি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা, কুড়–লগাছি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোজাম্মেল হক, সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সদস্য আব্বাস উদ্দিন, আশাদুল হক, সাইদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, নাসির উদ্দিন, একরামুল হক, হাজি পল্টু মিয়া, আলা উদ্দিন ও কাবির হুজুর।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, উল্লেখিত আসামীগনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জন জামায়াতের দলীয় নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয়ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারাসহ বর্তমান গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এলাকঅয নাশকতামূলক ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ ঘটানোর উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়ে আসামী শরীফুল আলম মিল্টনের দামুড়হুদা গুলশানপাড়াস্থ নিজ বাড়িতে গোপন বৈঠক করছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাচিল টপকে অন্যরা পালিয়ে যায়। বাড়ি তল্লাশী করে ২ টি সাটারগান, ৪ টি বন্দুকের গুলি, ৪ টি বোমা ও বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই ও লিফলেট উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মিল্টনকে।

এ ঘটনায় মিল্টনসহ ৩ জনের নামে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনে মামলা করা হয়। ঘটনাটি যেহেতু রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল সে কারণে মিল্টনকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবর (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের) আদেশের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আদেশের কপি হাতে পেলেই পলাতকদের গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।