1দৈনিক বার্তাঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুন করেছে বাবা। এ ঘটনায় পাষণ্ড বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল মুক্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- ময়না বেগম (২৯) ও তার মেয়ে নূরজাহান আক্তার স্বপ্না (১৩)। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা উদ্ধার করেছে। সুমন মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়। তিনি নারায়ণগঞ্জে কাপড়ের ব্যবসা করেন।
জানা যায়, হীরাঝিল মুক্তিনগর এলাকায় শুক্কুর মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী ময়না বেগম, মেয়ে নূর জাহান আক্তার স্বপ্না ও ৭ বছরের ছেলে ইমনকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সুমন মিয়া (৩০)। শুক্রবার গভীররাতে স্ত্রী ময়নার সঙ্গে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শনিবার ভোর ৪টার দিকে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে প্রথমে ময়না ও পরে বাধা দিতে এলে মেয়ে স্বপ্নাকে কুপিয়ে জখম করে সুমন। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।
নিহত ময়নার বড় বোন বেবী বেগম জানান, ময়না ও তার স্বামী পরিবার নিয়ে তাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ তাদের ঘর থেকে চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। জানালা দিয়ে দেখা যায়, সুমন বটি দিয়ে ময়নাকে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে। এক পর্যায়ে স্বপ্না তার মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও কোপায় সুমন। ভেতরের থেকে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা ঢুকতে না পেরে বাইরে থেকে কপাট বন্ধ করে পুলিশে খবর দেন বলে জানান বেবী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন বলেন, ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সুমন তার অপর শিশু সন্তান ইমনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে কৌশলে তাকে জানালার কাছে এনে গ্রিলের সঙ্গে হাতকড়া লাগিয়ে অপর জানালা ভেঙে ভেতর থেকে ইমনকে উদ্ধার করা হয়। মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি আলাউদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনকে আটক করে ও রক্তমাখা দাটি উদ্ধার করে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে।