বন্দুকযুদ্ধ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা:  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর জোনাল টিম অদ্য ১৪/০৯/২০১৪ খ্রি. আনুমানিক রাত ০২.৩০ টায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ের অভিযোগে তারেক মাসুদ (২৬) কে কদমতলী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে৷

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, তার গ্রম্নপ কদমতলী ও মাতুয়াইল এলাকার সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী চান্দি সুমন ও কিলার শামিম গ্রম্নপের সক্রিয় সদস্য৷ উক্ত সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়ে থেকে তার গ্রম্নপ কদমতলী ও মাতুয়াইল এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে৷

সে জানায় যে, তার গ্রম্নপের অন্যান্য সদস্যদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে৷ উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের লৰ্যে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়৷ এক পর্যায়ে তারেক মাসুদ জানায় যে, ভোর বেলা মুগদা থানাধীন মান্ডা এলাকার গ্রীণ মডেল টাউন সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় তার সহযোগী ১৷ ব্রিস্টল ২৷ কালু ৩৷ ভাগিনা রম্নবেল ও ৪৷ নোয়াখাইলা রকি অস্ত্র নিয়ে একত্রিত হবে৷ তারপর সকলে মিলে ৩/৪টি অস্ত্র নিয়ে তাদের একটি অপারেশনে যাবার কথা রয়েছে৷ গোয়েন্দা পুলিশ তার কথা মতো অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতারের লৰ্যে আনুমানিক সকাল ০৭.০০ টায় মুগদা থানাধীন গ্রীণ মডেল টাউন এলাকার বালুর মাঠে পেঁৗছে কৌশলে অবস্থান নেয়৷ অপরাধীদের কাছাকাছি পেঁৗছে কৌশল হিসেবে পুলিশ তারেক মাসুদকে তার অপরাপর সহযোগীদের সাথে একত্র হবার জন্য বলা হয় যাতে পুলিশ তার সহযোগীদের সনাক্ত করতে পারে৷ তারেক মাসুদ তার সহযোগীদের নিকটে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে তার অপর এক সহযোগীর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে লৰ্য করে গুলি করতে থাকে৷ তখন তার অন্যান্য সহযোগীরাও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে পুলিশকে লৰ্য করে গুলি করতে থাকে৷ তখন পুলিশও আত্মরৰার্থর্ে পাল্টা গুলি চালায়৷ পুলিশি এ্যাকশনে অপরাধীরা পালিয়ে যায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী তারেক মাসুদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকতে দেখে৷ মুগদা থানা পুলিশ আহত তারেক মাসুদকে চিকিত্‍সার জন্য দ্রম্নত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ কর্তব্যরত চিকিত্‍সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ০১টি বিদেশি পিসত্মল, ০২ রাউন্ড পিসত্মলের গুলি, ০৭ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ০৭টি গুলির খোসা, ০১টি চাপাতি ও ০১টি ছোরা উদ্ধার করে৷ উক্ত ঘটনায় ইন্সপেক্টর নিবারণ চন্দ্র বর্মন ও এএসআই আক্তারম্নজ্জামান গুরম্নতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন৷

মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স , ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা৷