3fbe8613de8094c372478e2e90677f37-s3.reutersmedia.nett

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯সেপ্টেম্বর: হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে৷ অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা, ব্যাবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷একটি বাজার এলাকা এবং একটি আবাসিক এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷রাতভর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের লাঠিপেটা এবং টিয়ার গ্যাসের পর সোমবার পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ এরপরও বিক্ষোভকারীদেরকে রাস্তার ধারে এবং ছাতার নিচে শুয়ে থাকতে গেছে৷

ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ বছর বয়সী ছাত্র নিকোলা চেয়ুং বলেছেন, কেন্দ্রীয় এডমিরালটি এলাকার বিক্ষোভকারীরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে কি করা হবে সে পরিকল্পনা করছে৷তিনি বলেন, এ আন্দোলন আবারো সহিংস হয়ে উঠবে৷ কারণ হংকং সরকার এ এলাকা দখল করে রাখা আমাদের পক্ষ হয়ে কাজ করবে না৷ আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার জন্য লড়ছি৷ সহিংসতার ভয়ে আমরা এ লড়াই থেকে পিছু হটব না৷

আয়োজকরা বলেছেন, শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর রাজপথ দখলে নেয় ৮০ হাজার মানুষ৷ তবে বিক্ষোভকারীদের এ সংখ্যা কোনো নিরপেক্ষ সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷চীনের জাতীয় দিবসের দিন ১ অক্টোবরে বিক্ষোভ আরো জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কাছাকাছি ম্যাকাউয়ের অধিবাসীর্রা সমাবেশ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে৷ চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অন্যান্য দেশের গণতন্ত্রপন্থি সমর্থকরাও বিক্ষোভে নামবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে ২০১৭ সালে পুরোপুরি গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচনের দাবি কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দিলে চলতি মাসের শুরুতে এ বিক্ষোভের পট প্রস্তুত হয়৷ রোববার আন্দোলনকর্মীরা হংকংয়ের নৌবাহিনীর অধিদপ্তরের সামনের রাস্তায় জড় হয়৷ তারা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে অধিদপ্তরে ঢোকার চেষ্টা করে৷ পুলিশ প্রথমে তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে৷

এরপর হেলমেট ও গ্যাস মুখোশ পরা পুলিশ সদস্যরা বাতাসে পেপার সপ্রে ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে৷ এ সময় আন্দোলনকারীরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাতা খুলে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করে৷ তারা পুলিশকে কাপুরুষ বলে গালি দেয়৷

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররা হংকংয়ের কেন্দ্রিয় এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সরকারি দপ্তরগুলো তছনছ করে৷ রাতভর ব্যাপক হাঙ্গামা চলার পর শনিবার দিনের শুরুতে আন্দোলনাকারী ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পেপার সপ্রে ব্যবহার করে৷এতে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে অন্তত ৩০ জন আহত হয়৷ এ সময় অন্তত ৬০ জন ছাত্র আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷

পুলিশের এই গণগ্রেপ্তারের জের ধরে আন্দোলনের সমর্থনে হাজার হাজার হংকংবাসী ও গণতন্ত্রপন্থি অকুপাই সেন্ট্রাল’ আন্দোলনের কর্মীরা শনিবার রাস্তায় নেমে এসে অবস্থান নেয়৷ এরপর রোববার ভোরের দিকে আকস্মিকভাবে অসহযোগের ডাক দেন হংকংয়ের অকুপাই সেন্ট্রাল’ আন্দোলনের নেতা বেনি টাই৷