mp-mojammell.thumbnail

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যার ঘটনাকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন৷

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক শনিবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে ন্যাশনাল এফ.এফ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন৷ বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী তান্ডবলীলার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যৰ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, কবীর আহমেদ খান ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল৷

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন,বেগম খালেদা জিয়া জানেন তাদের কর্মসূচীতে দেশের মানুষের কোন সমর্থন নেই৷ তারপরও তিনি পেট্রলবোমা মেরে দেশের নিরীহ মানুষ হত্যাকে রাজনৈতিকভাবে জায়েজ করার জন্য হরতাল-অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন৷ আ.ক.ম মোজাম্মেল বলেন, দেশের মানুষের সমর্থন না থাকলে বোমাবাজী করে অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন থাকায় পাকিসত্মান সেনাবাহিনীর মতো শক্তিকে পরাজিত করে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম৷তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের সাথে নেই৷ তাই তারা জঙ্গীবাদী কর্মকান্ডের মাধ্যমে এবং পেট্্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে ৰমতা দখল করতে পারবে না৷

মোজাম্মেল বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতে ইসলামী এবং পাকিসত্মানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ক্রীড়ানক৷ আইএসআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তারেক রহমানের নির্দেশনায় জামায়াতের নেতৃত্বে দেশে সকল নাশকতা পরিচালিত হচ্ছে৷তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কালীন বিরোধ আর বর্তমান সংকটের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী পাকিসত্মান হানাদার বাহিনীকে মানুষ হত্যায় সহায়তা করেছে৷ আর এখন তারা সরাসরি দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে৷

জাতির এ সংকটকালে মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নাশকতাকারীদের বিরম্নদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান মন্ত্রী৷
অনুষ্ঠানের শুরম্নতে সংগঠনের পৰ থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিরৰা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার পি.সি থিমায়াকে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান করা হয়৷