_MG_9625_79346

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: হিটলারি পন্থা অবলম্বন করে আন্দোলন দমনের নামে সরকার ক্ষমতায় টিকে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ৷তিনি বলেন, হিটলার যেমন এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধীদের দমনের জন্য অত্যাচার নিপীড়ণ চালিয়েছিলো, তেমনিভাবে বর্তমান সরকারও বিরোধীদের দমনে হিটলারি পন্থা অবলম্বন করছে৷শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন(একাংশ) আয়োজিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরেয়ে দেয়া সহ ৭ দফা দাবিতে’ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন৷

অবস্থানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ প্রমুখ৷এমাজউদ্দিন আরো বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার নাম করে সরকার দেশে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে৷ হিটলার-মুসোলিনীও এই শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন৷ যেখানে কথা বলা, চলাফেরার স্বাধীনতা ছিল না৷ দেশ যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে হয়তো একদিন দেখবো দেশের স্বাধীনতাও নেই৷

তিনি বলেন, যে মহিলা (খালেদা জিয়া) সৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তাকে আজ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷ তিনি কিভাবে আছেন, কেমন আছেন আমরা জানি না৷তিনি হয়তো অন্তরীণ বা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন৷ গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকারি বাহিনীর গুলিতে কত মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে, কত মায়ের বুক খালি হয়েছে সেটাও একটু দেখান৷ তা না হলে আমরা কী করে বুঝবো গণমাধ্যম নিরপেক্ষ৷

অনেক গণমাধ্যম বার্ন ইউনিটে পড়ে থাকে কিন্তু ক্রসফায়ারে পঙ্গুত্ববরণকারীদের তারা দেখে না মন্তব্য করে রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের চোখ শুধুমাত্র বার্ন ইউনিটে, অথচ পঙ্গুত হাসপাতাল তারা দেখে না৷সরকারের উদ্দেশে গাজী বলেন, দয়া করে মাথা ঠাণ্ডা করুন৷ কোন অপরাধে খালেদাকে গ্রেফতার করবে? তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করছেন, দেশের মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য কাজ করছেন৷গণমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাহলে একুশে টেলিভিশনের সালাম, এনটিভির মোসাদ্দেক আলী, আমার দেশের মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার কেন? চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত ও ইসলামী টেলিভিশন বন্ধ কেন? সাগর রুনী হত্যাকারীদের এখনও গেফতার করা হচ্ছে না কেন?”

আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের অফিসে তালা দেয়া উল্লেখ করে বলেন, অন্য দলের কারও অফিস করার সুযোগ নাই, বাসায় পর্যন্ত থাকতে পারছে না৷ এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়ও থাকতে পারছে না তারা৷ সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করার পর সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ধ্বংস করার চেষ্টা করছে৷আশঙ্কা প্রকাশ করেন পেশাজীবী এই নেতা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশ কোথায় যাবে?তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহীনির মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেছে তারাই এ দেশ থেকে চিরমূলে উত্‍খাত হয়েছে৷ বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে বর্তমান সরকার বৈধ নয়৷ অতীতে কখনও একদলীয় সংসদ টেকেনি, টেকতে দেয়া হয়নি, এবারও টেকতে দেয়া হবে না৷ দেশের সার্থে সবাই মিলে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান তিনি৷