nasim-aa-1418290813_64379

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ মে: আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই বিএনপি ভোট বর্জন করেছে।তিনি বলেন, সকাল থেকে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচিছল। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করা।নাসিম শনিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচনে দু’একটি বিচিছন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। স্থানীয় নির্বাচনে প্রাণহাণির মতো ঘটনাও ঘটে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে তেমনটি হয়নি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ট নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভোট হয়েছে, মানুষ ভোট দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সে লক্ষেই কাজ করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিন মাস ধরে বিএনপি অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করে রেখেছিল। সেখান থেকে এই নির্বাচন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সবাই নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। খালেদা জিয়া মাঠে নামার আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। তিনি মাঠে নেমেই উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন।বিগত ৫ সিটি করপোরশেন নির্বাচন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে এই নির্বাচনে জয় পেয়েছি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিগত ৫ সিটি করপোরশেন নির্বাচন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আওয়ামী এবং ১৪ দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দিনরাত আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঐকবদ্ধভাবে নিজেদের জয়ের লক্ষে কাজ করেছি। আমাদের পক্ষে গণরায় হয়েছে।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ভুল থেকে শিক্ষা নেন না। কিন্তু আমরা ৫ সিটিতে ভুল করেছিলাম। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ৩ সিটি করপোরশেন নির্বাচনে জয় লাভ করেছি।নাসিম বলেন, নির্বাচনের দিন মানুষ সকাল ৮টা থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে। কারচুপি হলে বিএনপির তিন প্রার্থী মিলে নয় লাখ ভোট পেল কিভাবে? খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় নেমে নিরব বিপ্লবের কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি নিরবে নির্বাচন বর্জন করলেন।সাংবাদিকদের একপ্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, কূটনীতিকরা সবসময় রুটিনমাফিক কিছু কথা বলে থাকেন। তারপরেও বিএনপি নির্বাচন বর্জনে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে কোনো সমস্যা হয়ে থাকলে কমিশন দেখবে।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের কোমরে কতটা জোর আছে তা দেখা হবে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সরকারের কোমরে কত জোর আছে তা সবাই জানে। ওদের (বিএনপির) কোমরে কত জোর আছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। ওদের কোমর সোজা করতে বলুন। আমাদের কোমর সোজা আছে। আমাদের কোমরে জোর আছে।এর আগে বৈঠকে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদি দলে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিম-ীর সদস্য নূরুর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদত হোসেন, কমিউনিষ্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাস খান, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিম মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ।