images

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মে: মা দিবসে সকল মা-কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যে কোন দিবস পালনের কতিপয় উদ্দেশ্য থাকে, তেমনি ‘মা’ দিবস পালনের পেছনে রয়েছে তেমন কিছু উদ্দেশ্য। মায়ের প্রতি ভালোবাসা, মায়ের সেবা করা, মায়ের যাবতীয় প্রয়োজন অনুভব করে তার ব্যবস্থা করাসহ সর্বোপরি মায়ের মুখে হাসি ফোটানো সন্তানের দায়িত্ব। কেউ হয়তো প্রশ্ন রেখে বলবেন-‘মা সম্পর্কে কি আর জানার আছে? নিজের মাকে সব সন্তানরাই-তো ভালোবাসে।’ এ ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, মা শুধুই মা নন। তিনি একই সময় প্রিয় মানুষ, প্রিয় বন্ধু, আদর্শ শিক্ষক এবং যোগ্য অভিভাবক। এক কথায় মা একটি প্রতিষ্ঠান।

সৃষ্টিকুলের মধ্যে মায়ের মতো আপন আর কেউ নয়। আল্লাহ তায়ালার অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম নেয়ামত হলো ‘মা’। যিনি সর্বদাই তার সন্তানের কথা ভাবেন। কোথায় যাচ্ছি, কী করছি, নিরাপদে আছি কিনা , ঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম হচ্ছে কিনা, পড়ালেখাসহ যাবতীয় কাজের খোঁজ রাখার মতো একটিই মানুষ-তিনি আমার মা। আমাদের নিয়ে মা যতটা ভাবেন সে তুলনায় আমরা কি মাকে নিয়ে ততটা ভাবি ? নিশ্চয়ই নয়। যে মা আমাদের জন্য কত কিছু করলেন, সেই মা যখন বৃদ্ধ হন তখন আমরা তাকে বোঝা মনে করি। তাই নিজের বাসায় না রেখে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসি। আমরা একবারও ভেবে দেখিনা যে, আমরা যখন শিশু ছিলাম; তষন আমরা কথা বলতে পারতামনা, কোন কাজ করতে পারতাম না। তখন সব কাজ ও সব অভাব আমার মা পূরণ করে দিতেন। আমি আমাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আমি কি আমার মায়ের যোগ্য সন্তান হতে পেরেছি? হয়তোবা পারিনি। তাই মা দিবসে আমি এতটুকু বলতে চাই, আমরা যেন আমাদের মাকে কখনোই কষ্ট না দেই। মায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করে মায়ের সেবা করব। হে আল্লাহ ! আমি যেন সর্বদা মায়ের খেদমত করতে পারি সেই তাওফিক কামনা করছি।