DoinikBarta_দৈনিকবার্তা kalapara-pic-01-08-05-15

দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ১ ১ মে: মানব পাচারকরী চক্রের শিকার হওয়া কুয়াকাটার চার যুবক মালয়েশিয়ার জেলে আটক থাকায় এসব পরিবারে এখন চলছে চরম দুরবস্থা। উপার্জনোক্ষম মানুষটি আটকে থাকায় এখন এদের দিন চলছে অর্ধাহার-অনাহারে। অবৈধ পথে পাচার হয়ে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে তিনমাস থাই দালালদের বর্বর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে মালায়েশিয়া পুলিশের হাতে আটক হয় আলমগীর, আল আমিন, মিরাজ ও বাহাদুর। তিন মাস নিরুদ্দেশ থাকার পরে খবর মিললেও এখন এদের উদ্ধার করতে না পেরে এসব পরিবারের সদস্যরা মানব পাচারকারী দালাল চক্রের বাড়িতে ধর্ণা দিচ্ছেন। কিন্তু মানব পাচারকারী চক্রের স্থানীয় হোতা জাহাঙ্গীর ও জাকিরের অভিভাবক ও স্বজনরা কোন কর্ণপাত করছেন না। ফেরতও দিচ্ছে না হাতিয়ে নেয়া টাকা। আলমগীরের বাবা আব্দুল খালেক হাওলাদার ছেলের জন্য পাগল প্রায়। তিনি বলেন, ‘আমার বাপেরে কত নির্যাতন করছে দালালরা হ্যার কোন সীমা নাই। জেল খানায় ওরা ভাল নাই। কি ভাবে যে ফিরাইয়া আনমু জানি না। দাদালরা পলাইয়া আছে। কোন টাকা পয়শা দেয়না।’

আল আমিনের মা ও বাহাদুরের শাশুরি কহিনুর বেগম কান্নাভেঁজা কন্ঠে বলেন, ‘আমার বাপরা এহোনো বাইচ্চা আছে, আমি নিজে মালয়েশিয়ার সিরাজ মিয়ার সাথে কতা কইছি। আমার কইলজার ধনগো এ্কটু আইন্যা দেন। দালালরা এত টাকা নেছে কিছু টাহা ফেরত দেলেও আমার বাপগোরে আনতে পারি।’বাহাদুরের স্ত্রী হামিদা বেগম বলেন, ‘আমরা গরীব জাল সাবার বেইচ্চা দালালরা আমার স্বামীরে বিদেশ নেছে, কি ভাবে হেরে আনমু জানি না। সরকারের সাহায্য চাই।’মিরাজের স্ত্রী মরিয়াম বলেন, ‘সংসার চালানোর মত একটা পয়সা নাই। কিভাবে আমার স্বামীরে আনমু। আপনারা কিছু করেন।’ মালয়েশিয়ার জেল হাজতে আছে এমন নিশ্চিত খবর পেয়ে এ চার পরিবারের কারও এখন ঘুম নেই। স্থানীয় দালালদের বাড়িসহ সাংবাদিক, পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন আহাজারি করছেন এসব পরিবারের লোকজন।উল্লেখ্য ফেব্র“য়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় দালাল লতাচাপলীর জাহাঙ্গির, জাকির, সালাম এর সহযোগীতায় কুয়াকাটার চার যুবককে টেকনাফ হয়ে অবৈধভাবে সমুদ্র পথে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে অন্যান্যদের সঙ্গে আটকে টাকার জন্য নির্যাতন চালানো হয়। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে মালায়শিয়ায় আটক হয়।