1426846865

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ জুন: খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানি বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম।তিনি রোববার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ব্রাজিল থেকে আমাদনিকৃত গম যেসব গুদামে রয়েছে, এগুলো সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি গুদামের গমের নমুনা এসে পৌঁছেছে। এগুলো ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে ১৫টি গুদামের গমের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। তখনই এ বিষয়ে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হবে।তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলার অবকাশ নেই। আমাদের সৎ সাহস আছে বলেই নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। নষ্ট গম কাউকে জোর করে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে এগুলো ধ্বংস করা হবে।মন্ত্রী গম আমদানির বিষয়ে বলেন, আমাদের গুদামে গমের মজুদ কমে যাওয়ায় ইউক্রেন থেকে আড়াই লাখ টন গম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরও গম আমদানিতে বিলম্ব হতে থাকে। ইতোমধ্যে মজুদ ৬৮ হাজার মেট্রিক টনে চলে আসে। মজুদ তলানিতে চলে আসায়, অন্যদেশ থেকে গম আমদানির জন্য টেন্ডার দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ব্রাজিল এই টেন্ডারে অংশ নেয়। তাদের সর্বনিম্ন দর হওয়ায় ক্রয় কমিটি ব্রাজিল থেকে গম আমদানির অনুমতি দেয়। তাদের গম আসার পর এর নমুনা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহাজ থেকে গম খালাসের অনুমতি দেয়া হয়। নমুনা পরীক্ষার সময় দেখা গেছে, আমদানিকৃত গমগুলো দেখতে একটু লাল এবং ছোট দানা হলেও খাবার অনুপযুক্ত নয়।তিনি বলেন, পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তরের কোটেশন দেখে সন্দেহ হলে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৫ ও ৬ নং প্যাকেজের ১ লাখ টন গম আমদানি আদেশ বাতিল করা হয়। ইতোমধ্যে এসব গমের একটি নমুনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছলে তিনিও স্বাভাবিকভাবেই এসব গম দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন।কামরুল ইসলাম বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট গুদাম থেকে নমুনা পাঠাতে শুরু করেছেন। এগুলো ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করে শিগগিরই প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।