rat20150621152945

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২১ জুন: কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ইঁদুরের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ৭২৩ কোটি ৭২ লাখ ৭ হাজার ৩৫৫ টাকার ধান, চাল ও গম ফসলের ক্ষতি হয়েছে।তিনি রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, প্রতি টন ধানের মূল্য ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা, প্রতি টন চালের মূল্য ৩২ হাজার টাকা এবং প্রতি টন গমের মূল্য ২৮ হাজার টাকা।কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ইঁদুর কর্তৃক ধান ফসলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৪ মেঃ টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৫ টাকা।মতিয়া চৌধুরী বলেন, চালের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬২ হাজার ৭৬৪ মেঃ টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২শ’ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং গম ফসলের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৬৬০ মেঃ টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮৩ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে সুন্দরবনের বাঘ, উড়োজাহাজ ক্রয়, পর্যটন শিল্পে আয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যয় বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।সাংসদ এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইঁদুরের আক্রমণে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন ধানের ক্ষতি হয়েছে। যার বর্তমান বাজারদর ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ টাকা। চালের ক্ষতির পরিমাণ ৬২ হাজার ৭৬৪ মেট্রিক টন। যার বাজারদর ২০০ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গমের ক্ষতির পরিমাণ ২৯ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন। যার বাজারদর ৮৩ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এরপর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।পঞ্চানন বিশ্বাসের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, সুন্দরবনের বাঘ মাঝেমধ্যে গ্রামে প্রবেশ করে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর পাওয়া গেলে এই দলটি ব্যবস্থা নেয়। এ পর্যন্ত বন থেকে লোকালয়ে আসা তিনটি বাঘকে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের মাসে দুটি নতুন উড়োজাহাজ (৭৩৭-৮০০) এবং ২০১৯-২০ সালে চারটি নতুন উড়োাজাহাজ (৭৮৭-৮) কেনা হবে।মনোয়ারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে (মার্চ পর্যন্ত) পর্যটনশিল্পের মাধ্যমে ৯১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সম পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।