দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে যে টিউশন ফি দেন তার মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে৷ তাই শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ার কোনো সুযোগ নেই৷বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট আদায় বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোডের্র (এনবিআর) বৃহস্পতিবার এক ব্যাখ্যায় এ কথা বলা হয়েছে৷ এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এই ব্যাখ্যায় স্বাক্ষর করেন৷ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নতুন করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়ের উদ্দেশ্যে ভ্যাট আরোপ করা হয়নি৷ ভ্যাট বাবদ অর্থ পরিশোধ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, কোনোক্রমেই শিক্ষার্থীদের নয়৷ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার বলেছে, ওই কর পরিশোধের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, ছাত্র-ছাত্রীদের নয়৷আর ওই ভ্যাট যে পত্যাহার করা হবে না, তা আবারও জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করার জন্য নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হয়নি৷ বিদ্যমান টিউশন ফি’র মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভূক্ত রয়েছে৷ ভ্যাট বাবদ অর্থ পরিশোধ করার দায়িত্ব সম্পূণরূপে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, কোনক্রমেই শিক্ষার্থীদের নয়৷বিদ্যমান টিউশন ফি’র মধ্যে ভ্যাট ‘অন্তর্ভূক্ত থাকায়ত্ টিউশন ফি বাড়ার কোন সুযোগ নেই বলেও এতে উল্লেখ করা হয়৷
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে এই ভ্যাট আরোপ করে সরকার৷ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে আদেশ জারি করে৷এরপর থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন৷বুধবার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ এই পরিস্থিতিতে সারা শহরে যানজট ছড়িয়ে পড়লে নগরবাসীকে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়৷ এরই মধ্যে দুপুরে ভ্যাটের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় এনবিআর৷ সরকারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়েও পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা হয়৷ বিকালে সিলেটে এক সংবাদ সম্মলনে অর্থমন্ত্রী মুহিতও এ বিষয়ে কথা বলেন৷তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই ভ্যাট দেওয়ার কথা৷ তারা আবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করবে- এটা উচিত নয়৷
এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট থেকে পাওয়া অর্থ জনগণেরই কল্যাণে ব্যবহার করা হয়৷ জনগণের জন্য সরকারের খরচের উত্স কোথায়? আমি মনে করি এটা একটা ভালো উত্স৷এর আগে গত মাসে সিলেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেছিলেন, তাদের আন্দোলনে আমার কোনো সমর্থন নেই৷ তারা ৫০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা বেতন দিতে পারে; আর মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট কেন দেবে না?
