khaleda

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংক্রানত্ম মামলায় হাইকোর্টের রম্নলের ওপর আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রায় দেয়া হবে৷বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টির ওপর রায় দেয়া হবে৷ এ বেঞ্চে বিষয়টি রায়ের জন্য (ফর জাজমেন্ট) ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য রেখে মঙ্গলবার কার্যতালিকার ৩৫ নম্বরে রাখা হয়৷ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা যায়৷ এছাড়াও খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী রায় ঘোষণার দিন ধার্যের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন৷ দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার বিরম্নদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংক্রানত্ম মামলায় হাইকোর্টের রুলের ওপর গত ৩০আগস্ট শুনানি শেষে যে কোন দিন রায়ের জন্য (সিএভি) রাখা হয়েছিল৷

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিষয়টি সিএভি রাখা হয়৷আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী৷

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান আসামি খালেদার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট৷ গত ৯ এপ্রিল এ মামলাটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করেন আদালত৷খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন দুর্নীতি মামলার মধ্যে অন্য দু’টি নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে যথাক্রমে গত ১৮ জুন ও ৫ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট৷ একইসঙ্গে দুই মামলায়ই রায়ের কপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খালেদাকে৷বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ নাইকো এবং বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার রিট ও রুলের রায় দেন৷খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে করা এসব মামলা হাইকোর্টের আদেশে কয়েক বছর ধরে স্থগিত ছিল৷ সমপ্রতি মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক৷এসব মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া৷গত ১৯ এপ্রিল গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি পেছাতে খালেদার চারটি সময়ের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট৷ পরে পর্যায়ক্রমে মামলাগুলোর রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়৷

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাত্‍ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক৷ এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক৷এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া৷ ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন৷ একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন৷

ওই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন-এম সাইফুর রহমান (মৃত),আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক,এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম,পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী,সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন৷