পাবনায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ৩০

পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর গ্রামে সোমবার বকুল সরদার ও আবজাল হোসেনের নামের পরাজিত দুই মেম্বর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দু’জন গুলি্িবদ্ধসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় এলাকায় চরম আতংক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আহতদের মধ্যে মধ্যে সিরাজুল ইসলাম(৪৫), মতিয়ার রহমান(৫০), নিজাম সরদার(৩৫), ওমর আলী(৩২), মতিউর(৩৫), ওয়াজেদ আলী(৩৫), আশরাফ আলী(৫০), সিরাজুল(৪৪), আসলাম হোসেন(৩৮), কালাম(৫৫), শমসের আলী(৪০), নুর মোঃ(৩২), রাকিব(২২), মিলন(২৬), মুস্তাফিজুর(২৮)কে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধি সিরাজুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চরঘোষপুর থেকে বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ জুন ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত হিমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই মেম্বর প্রার্থী বকুল সরদার ( ঘুড়ি মার্কা) ও আবজাল হোসেন (মোরগ মার্কা) পরাজিত হন। নির্বাচনের জের ধরেই সোমবার সকাল ১০টার দিকে চরঘোষপুর গ্রামে ইয়াকুব আলীর বাড়ির উপর দুই গ্র“পের সমর্থকেরা ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিফালা, ইট পাটকেল, রড, চাপাতি, সড়কি, ও দেশীয় বন্দুক নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রায় ১ ঘন্টাব্যাপী চলে দুগ্র“পের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভোট নিয়ে দুগ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিকেলে তিনি জানান, কোনপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

এদিকে,পাবনার বেড়ার ঢালারচর এলাকার চাঞ্চল্যকর চমরপন্থি দলের সদস্য গহের মন্ডল হত্যা মামলায় ঢালারচর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ২ ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে সোমবার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হচ্ছেন, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো: কোরবান আলী, নব নির্বাচিত দুই ইউপি সদস্য বালাত ও আমিন। হাইকোট থেকে চার সপ্তাহের জামিনপ্রাপ্ত উপরোক্ত ব্যক্তিরা জামিনের শেষ দিনে সোমবার দুপুরে পাবনার আমলী-৩ আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রাশেদ হোসাইনের আদালতে জামিনের প্রার্থণা জানিয়ে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবি আকিল হোসেন শিকদার জানান, চলতি বছরের ২০ মার্চ খুন হন ঢালারচরের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী নেতা গহের মন্ডল। এই হত্যাকান্ডে নিহত গহের মন্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকে ৪৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামী করা হয় ঢালারচরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা কোরবান আলী,র্ ইউপি সদস্য বালাত ও আমিনসহ স্থানীয় বিভিন্নজনকে নামীয় আসামী করা হয়। অ্যাড. আকিল বলেন, চার সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে কোরবান আলী, আমিন ও বালাত জামিন নিয়ে আসেন। হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখে আসামীরা নিম্বন আদালতে আত্মসমর্পন করেন।