৬ জঙ্গির ডিএনএ এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর

রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী নিহত ৬ জঙ্গির ডিএনএ নমুনা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআই প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান।তিনি জানান, শুক্রবার সকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ডিএনএ নমুনাগুলো এফবিআই প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করে।এ সময় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তা শুক্রবার ভোরে এফবিআই প্রতিনিধির কাছে ছয় জনের নমুনা হস্তান্তর করেন।গুলশান হামলায় জড়িত পাঁচ জঙ্গি ও এক সন্দেহভাজনের নমুনার চুল ও রক্ত পরীক্ষার জন্য এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।গত বুধবার ওই ছয়জনের প্রত্যেকের দেহ থেকে দ্বিতীয় দফায় বিশ মিলিলিটার করে রক্ত ও ত্রিশটি করে চুল সংগ্রহের কথা বলেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।দ্বিতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ময়নাতদন্ত করার সময় আমরা নিহতদের দেহ থেকে পাঁচ মিলিলিটার রক্ত, উরুর মাংস ও দাঁত রেখেছিলাম। কিন্তু কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট আরও কিছু নমুনা চেয়েছে।গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের ওই ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে হামলাকারীরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর সশস্ত্র বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে জেএমবি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।ওই ছয়জনের মধ্যে সাইফুল চৌকিদার নামে একজন ছিলেন ওই বেকারির পাচক। তিনিও ‘হামলাকারীদের সঙ্গে থেকে তাদের সহায়তা করেন’ বলে পুলিশের ধারণা।গুলশান হামলার ঘটনায় পুলিশ যে মামলা করেছে, তার আসামির তালিকায় ওই ছয়জনেরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে।হামলায় নিহত ১৭ বিদেশির মৃতদেহ তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদশি পাঁচজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।আর হামলাকারী ও সহযোগীতারকারী হিসেবে চিহ্নিত ছয়জনের লাশ এখনো ঢাকা সিএমএইচের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে।হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিদল আইএস গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে হামলাকারীরা দেশীয় জঙ্গি।

অবশ্য আইএস জঙ্গিদের মত গুলশানের হামলাকারীরাও ক্যাপ্টাগন নামের মাদকে আসক্ত ছিলেন কি না, সে পরীক্ষাও করা হবে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ।এর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী নিহত জঙ্গিদের মরদেহ নিতে হলে স্বজনদের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ণয় করেই হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকা ৬ জঙ্গির মরদেহ নিতে হলে তাদের পরিবার ও স্বজনদের তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। জঙ্গি ও তাদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পর্ক নিশ্চিত হলেই মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।গত বুধবার বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছিলেন ডিএমপি’র উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নিহত জঙ্গিদের মরদেহ নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের স্বজনরা কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যদি স্বজনরা মরদেহ নিতে চান তবে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নিহতদের সঙ্গে স্বজনদের সম্পর্ক নির্ণয় করেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।গত ০১ জুলাই রাত ৯টার দিকে গুলশান আর্টিজান বেকারিতে একদল জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওই ছয় জঙ্গি।

গত বুধবার সকালে নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহ থেকে রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে আনুষঙ্গিক কাজ শেষে তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে জমা দেওয়া হয়।হামলা চালানোর আগে জঙ্গিরা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিলেন কি-না কিংবা কোনো মাদক সেবন করেছিলেন কি-না সেটাও পরীক্ষা করা হবে।

ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, নিহত জঙ্গিদের ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। যেসব পরীক্ষা দেশের করা সম্ভব সেগুলো করা হবে। এছাড়াও অনেক পরীক্ষা দেশে করা সম্ভব নয়, সেই পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত অন্য দেশে পাঠানো হবে।মামলার তদন্তের স্বার্থে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।নিব্রাসের সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য থাকার পর কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ০৯ ফেব্র“য়ারি শাহবাগ থানা এলাকায় কোনো নাশকতা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিলো। সে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট অভিযান চালায়।ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পাশে ১০/১২ জন যুবক ছিলেন। সেখানে টের পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা হলেন- রায়হান মিনহাজ, আহমেদ সাম্মুর রায়হান ও তৌহিদ বিন আহম্মেদ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য ও নাম পাওয়া যায়। সেখানে নিব্রাসের নামও ছিলো।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত ০৩ এপ্রিল তারা উচ্চ আদালতের জামিনে বের হয়েছেন। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন বলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তথ্য আছে।

এর আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী নিহত ৬ জঙ্গির রক্ত ও চুলের নমুনা ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মেডিকেল কলেক (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।গত বুধবার বিকেল পৌন ৬টার দিকে সিটিটিসি ইউনিটের উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুল ইসলামের কাছে এ নমুনা হস্তান্তর করা হয়।

ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকা নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক কাজ শেষে তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে জমা দেওয়া হয়েছে।হামলা চালানোর আগে জঙ্গিরা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিলেন কি-না কিংবা কোনো মাদকসেবন করেছিলেন কি-না সেটাও পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান সোহেল মাহমুদ।গত ০১ জুলাই রাত ৯টার দিকে গুলশান আর্টিজান বেকারিতে একদল জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওই ছয় জঙ্গি। রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী নিহত ৬ জঙ্গির রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

সোহেল মাহমুদ বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থাকা নিহত জঙ্গিদের মৃতদেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে আনুষঙ্গিক কাজ শেষে তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে জমা দেওয়া হবে।হামলা চালানোর আগে জঙ্গিরা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিলো কিনা কিংবা কোনো মাদকসেবন করেছিলো কিনা সেটাও পরীক্ষা করা হবে বলে জানান সোহেল মাহমুদ।গত ০১ জুলাই রাত ৯টার দিকে গুলশান আর্টিজান বেকারিতে একদল জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২ জন নিহত হন। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওই ছয় জঙ্গি।