%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a6%a8-%e0%a6%b9%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a7%af%e0%a7%af%e0%a7%af-%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a6%a8ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের সমাপনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হলো ‘৯৯৯’, ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক অ্যাপ। শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের শেষ দিনের অনুষ্ঠানে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘ব্রিটিশরা ন্যাশনাল হেল্পডেস্ক চালু করেছে ১৯৩৭ সালে, যুক্তরাষ্ট্র চালু করেছে ১৯৬৮ সালে। আমরা করলাম ২০১৬ সালে। দেরি হলেও আমরা যাত্রা শুরু করেছি। এটাকে এগিয়ে নিতে হবে। ৯৯৯ নম্বরটি টোল ফ্রি। এর মানে হলো এই নম্বরে ফোন করতে কোনও টাকা লাগবে না।’

পলক জানান, আগামী ২ মাস এটির টেস্ট রান চলবে। ৯৯৯ খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। যেকোনও ধরনের জরুরি সেবা এই নম্বর থেকে পাওয়া যাবে। এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। বিনামূল্যে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। তিনি আরও জানান, গত তিন দিনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের জন্য এক লাখেরও বেশি দর্শক মেলায় অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। আর প্রায় ৩০ লাখ মানুষের কাছে অনলাইনে মেলা নিয়ে পৌঁছানো গেছে। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয় বড় প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড- ২০১৬’, শেষ হলো শুক্রবার। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ ছিল এর আয়োজক। প্রদর্শনীতে ‘রূপকল্প: ২০২১’-এর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পথে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।

এই মেলায় সরকারের ই-সার্ভিসের নানা দিক তুলে ধরা হয়। এবছর ৪০টিরও বেশি স্টল সরকারের ই-সার্ভিসের বিষয়গুলো তুলে ধরে। এছাড়া ছিল বিভিন্ন আয়োজন। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নন স্টপ বাংলাদেশ।’ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ থেকে ৮ বছর আগে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম তখন আমরা বলেছিলাম, তরুণরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে। আমাদের তরুণ সমাজ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিল এবং তারা সফলও হয়েছে। আমার মনে আমরা আজ সত্যি সত্যি জিডিটাল বাংলাদেশে পদার্পণ করেছি।’

এজন্য তিনি তরুণদের অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘হিপ হিপ হুররে ফর দেম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানসিক উন্নতি হয়েছে। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলনের জন্য সম্ভব হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বারসহ অনেকে। শেষ দিনে মেলা রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার থাকার কথা থাকলেও দর্শক উপস্থিতি ও আগ্রহের কারণে মেলা খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।