miraz-n-tamim

অভিষেক টেস্টের পারফরম্যান্সেই সরাসরি ৬১তম হয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢুকেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের টেস্টে এক লাফে এগোলেন আরও ২৮ ধাপ! দুই টেস্ট খেলেই আইসিসি বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ের ৩৩ নম্বরে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন এই সেনসেশন।অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। মিরপুরে ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়ে গড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মিরাজের র‌্যাঙ্কিং এখন দ্বিতীয় সেরা। ১৫ ন¤॥^রে থেকে বাংলাদেশের শীর্ষে সাকিব আল হাসান।

ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে আবার সেরা বিশে ঢুকলেন তামিম ইকবাল। মিরপুর টেস্টে ১০৪ ও ৪০ রানের ইনিংসে চার ধাপ এগিয়ে তামিম এখন বিশে।মিরপুর টেস্টে ৬৬ ও ১ রান করে এক ধাপ এগিয়ে ২৬তম মুমিনুল হক।এক ধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান (২৭তম)। ৫ ধাপ পিছিয়ে মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪৫ নম্বরে। মাহমুদউল্লাহ আগের মতোই ৪৯ ন¤॥^রে। ২ ধাপ এগিয়ে ৫৩ নম্বরে ইমরুল কায়েস।ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচে নেমে গেছেন জো রুট। শীর্ষ দুইয়ে আগের মতোই স্টিভেন স্মিথ ও ইউনুস খান। বোলারদের সেরা দুইয়েও আগের মতো রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ডেল স্টেইন।

অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষে যথারীতি অশ্বিন, দুইয়ে সাকিব। তবে প্রথম টেস্টের মত দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যবধানে আরেকটু কমিয়েছেন সাকিব। মিরপুর টেস্ট থেকে পেয়েছেন ৫ পয়েন্ট। দুই টেস্ট থেকে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিব পেয়েছেন মোট ২১ পয়েন্ট। সাকিবের পয়েন্ট এখন ৪০৫, তবে এখনও অনেকটা এগিয়ে অশ্বিন (৪৫১)।

এদিকে,সিরিজে আর কেউ যেখানে একবারের বেশি ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ নিয়েছেন তিন বার। বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসানের চেয়ে সাতটি বেশি উইকেট নিয়ে সিরিজে সেরা উইকেট শিকারী এই তরুণ অফ স্পিনারই।

১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া সিরিজে বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও প্রথম দুটি স্থানে আছে স্বাগতিকদের দুই ক্রিকেটার। সিরিজে একমাত্র শতক করা তামিম ইকবাল সবার ওপরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী ইমরুল কায়েসের।নতুন বলে ১৯ বছর বয়সী মিরাজ ছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাঁধা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে চট্টগ্রামে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। মিরপুরে ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়ে গড়েছেন বাংলাদেশের হয়ে এক টেস্টে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।১৫.৬৩ গড়ে ১৯ উইকেট নেওয়া মিরাজ জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। অভিষেক সিরিজে সেরা হওয়া মাত্র নবম ক্রিকেটার তিনি। বাংলাদেশের হয়ে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এই তরুণের। ২০০৫ সালে এনামুল জুনিয়র ও ২০১৪ সালে সাকিব জি¤॥^াবুয়ের বিপক্ষে ১৮টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে নিজের প্রথম দুই টেস্টের তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট পান মিরাজ।

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে লক্ষ্যটা ধরা ছোঁয়ার মধ্যে রেখেছিলেন সাকিব। সেবার পারেনি স্বাগতিকরা। ঢাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার রাখেন বড় অবদান। সব মিলিয়ে ১৮.৪১ গড়ে ১২ উইকেট নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকা।১১টি করে উইকেট নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছেন বেন স্টোকস ও মইন আলি। রিভার্স সুইংয়ে প্রথম টেস্টে ব্যবধান গড়ে দেওয়া পেসার স্টোকস ১০.০৯ গড়ে উইকেট নেন। তার সেরা ৪/২৬।অফ স্পিনার মইন একমাত্র ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে নেন ৫ উইকেট। তার সেরা ৫/৫৭। ২২.৯০ গড়ে উইকেট নেন তিনি।৭টি করে উইকেট নেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।