andy-murray-seals-world-no-1

ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান পজিশনে থেকেই ২০১৬ সাল শেষ করছেন অ্যান্ডি মারে। লন্ডনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন ব্রিটিশ টেনিস সেনসেশন। চলতি মাসের শুরুতেই ২৯ বছর বয়সী নোভাক জোকোভিচকে হটিয়ে র‌্যাংকিংয়ের চূড়ায় ওঠার গৌরব অর্জন করেন মারে। মৌসুম শেষের ইভেন্টে এসে তা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটা দুর্দান্তভাবেই পার করলেন রিও অলিম্পিক হিরো।

জিতলে বিশ্বসেরাই থাকবেন; হারলে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানটা চলে যাবে আবারো জোকোভিচের হাতে। এমন সমীকরণের ঐতিহাসিক ফাইনালটি অনেকটা সহজেই জিতে নেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মারে। সরাসরি সেটে হারের লজ্জায় ডোবেন এই ইভেন্টে গত চারবারের (মোট ৫ বার) চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। সার্বিয়ান আইকনের রজার ফেদেরারের ছয়টি শিরোপা জয়ে ভাগ বসানোর অপেক্ষাটা দীর্ঘায়িতই হলো!

প্রথম সেটটি ৬-৩ গেমে হেরে পিছিয়ে পড়েন জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় রূপ নেয়। ৬-৪ গেমের জয়ে ভক্ত-সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাসের উপলক্ষ এনে দেন মারে। এ নিয়ে টানা ২৪টি ম্যাচ অপরাজেয় থাকলেন তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। অবিস্মরণীয় একটি বছরই কাটালেন জোকোভিচের সমবয়সী অ্যান্ডি মারে। শিরোপা জিতেছেন ৯টি। যার মধ্যে অন্যতম ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় উইম্বলডন ও অলিম্পিক গোল্ড মেডেল। চলতি বছর ৮৭ ম্যাচের মধ্যে ৭৮টিতেই জয় নিয়ে কোর্ট ছাড়েন। যেটি তার ক্যারিয়ার সেরা রেকর্ড (৭৮-৯, ৮৯.৬৬ %)। জোকোভিচের জয়-পরাজয়ের রেকর্ড ছিল ৬৫-৯।