বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ইতিহাসের কলঙ্ক হয়ে থাকবে। যা কোনোদিন মোচন হবে না। মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা এক, আর অন্যদের কাছে আরেক। আওয়ামী লীগ যে গণতন্ত্রের কথা বলে, তা হাস্যকর, তা জাতির কাছে প্রতারণা, প্রহসন, জনগণকে হেয় করা, জনগণের অধিকারকে লঙ্ঘন করা বোঝায়।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৫জানুয়ারি নির্বাচন: ইতিহাসের কলঙ্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক মঞ্চ।সাবেক আইন মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের সব স্তম্ভকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫ কোটি ভোটার ভোটকেন্দ্রেই যেতে পারেননি। কেননা, ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের অর্ধেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। পৃথিবীতে নির্বাচনের ইতিহাসে যা বিরল ঘটনা। আর সেই নির্বাচনের দিনটিকেই আওয়ামী লীগ বলছে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস।তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, যেদিন ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন, সেদিন মূল্যায়ন করবে জনগণ। সেদিন জনগণ ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের হত্যা দিবস হিসেবেই পালন করবে।জাতীয় গণতান্ত্রিক মঞ্চ আয়োজিত সভায় অতিথিরা বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, সরকার অনেক উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু তারা নতুন প্রজন্মের কাছে কোনো মূল্যবোধ দিতে পারেনি। কোনো ভবিষ্যৎ রেখে যায়নি। তারা পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে। জনগণের কাছে সরকারের প্রশাসনের কোনো জবাবদিহিতা নেই।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকারের গড়িমসির সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দিচ্ছেন। কথিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সমাবেশ করতে দিচ্ছেন। তাহলে বিএনপিকে কেন অনুমতি দেওয়া হবে না। এটাকে কী গণতন্ত্র বলে?সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ ভোটে অংশ নেয়নি, ভোট দেয়নি। এই নির্বাচন ইতিহাসের কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।সাবেক ছাত্র নেতা ইসমাইল তালুকদার খোকনের সভাপতিত্বে সভায় এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও নিপুণ রায় চৌধুরী বক্তব্য দেন।