নিষ্ঠুর বাস্তবতায় আমরা আজকে জিম্মি। এখানে কোলের শিশুকে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া রক্তেত সম্পর্কের উপরে আইন পক্ষ নেয়, জাতকুল ভুলে ভিন্ন জাতির পতিত নিষ্পাপ শিশুকে বছরের পর বছর মাতৃস্নেহে প্রতি পালনের কোন মুল্য নেই। এমনি এক নির্মম মাতৃস্নেহে অন্য শিশুকে প্রতিপালন করেও আজকে কোল খালি করতে হলো লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার শটিবাড়ী এলাকার শ্রী কৃষ্ণের স্ত্রী সন্ধারাণী রায় কে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দীর্ঘ ৩ বছর সন্ধ্যা রানীর ঘরে প্রতিপালিত হওয়া পতিত শিশু ইয়াছিনকে নিয়ে আইনী লড়াই শেষে তার মায়ে কোলে তুলে দেয় থানা পুলিশ। সন্ধ্যা রানীর ঘর খালি করে ইয়াছিন চলে গেল মায়ের কোলে। এ সময় ইয়াছিন-সন্ধ্যা রানী কান্নায় ভারি হয়ে উঠে পুরো থানা চত্ত্বর। এ যেনো মাতৃত্বের বিদায়!

প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, উপজেলার ভাদাই শটিবাড়ী এলাকার কৃষ্ণৃ-সন্ধ্যারাণী দম্পত্তি চাকরির সুবাদে ঢাকা কেরানীগঞ্জ থাকতেন। পার্শ্বের বাসায় থাকতেন প্রবাসী মামুনের স্ত্রী সালমা। পরকীয়ার টানে ৩ মাসের শিশু ইয়াছিনকে রেখে চলে যায় সালমা। ইয়াছিনের মাতৃত্বের দায়িত্ব নেয় ভিন্নধর্মীয় সন্ধ্যা রানী। এভাবে ৩ বছর অতিবাহিত হবার পর গত ২ দিন আগে সালমা মাতৃত্বের দাবি নিয়ে সন্তান ফিরে পেতে লালমনিরহাট জজ কোর্টের বার কাউন্সিলে আবেদন করেন।

গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বার কাউন্সিলের সহযোগিতায় শিশু ইয়াছিনকে তার মা সালমার কোলে তুলে দেয় পুলিশ। এ সময় ইয়াছিন-সন্ধ্যা রানী কান্নায় ভারি হয়ে উঠে পুরো থানা চত্ত্বর। এ যেনো মাতৃত্বের বিদায়! আদিতমারী থানার ও সি হরেশ্বর রায় জানান, আমরাও তো মানুষ। আমাদেরও পিতৃত্ব মাতৃত্ব বোধ আছে। কিন্তু আইনকে শ্রদ্ধা জানাতেই শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তুলে দিতে হলো।

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি