আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।আগামী সোমবার (০২ এপ্রিল) থেকে দেশব্যাপী একযোগে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।শনিবার (৩১ মার্চ) ডিএমপি অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-ওওও/১৯৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তিনি এ আদেশ দেন। ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, এ আদেশ আগামী ০২ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে বলবৎ থাকবে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে; যা গতবারের চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।আগামী ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত হবে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, সারা দেশের মোট ৮ হাজার ৯৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিকে বসবে। গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি; কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।এইচএসসিতে আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৯৬৯ জন পরীক্ষা দেবে এবার।মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী।মন্ত্রী জানান, ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে, এর মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র এবং ১৪০ জন ছাত্রী।এবারও ২৮টি বিষয়ের ৫৪টি পত্রের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল প্রশ্নে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন নিতে হবে।

পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে এসএমএস করে সেট কোড এর নির্দেশনা পাঠানো হবে। তারপর প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা যাবে। কেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।

এবারও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্র“তিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবেন অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।