লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ট্রাক টার্মিনালের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়কে ট্রাক থামিয়ে অবরোধ করে রেখেছে চালকেরা। তবে কোন বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মহাসড়ক ও টার্মিনালে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১২টা (এই রিপোর্ট লেখা) পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকে।

জানা গেছে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়কে গাড়ি প্রতি ট্রাক টার্মিনালের নামে টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে চালকদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয় ট্রাক টার্মিনালের লোকজনের। এর জেরে অন্য চালকরাসহ মহাসড়কে ট্রাক থামিয়ে অবরোধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্রাক চালকরা জানায়, গত কয়েকদিন থেকে স্থানীয় ট্রাক চালকদের কাছে ট্রাক টার্মিনালের নামে ২২০ টাকা ট্রাক প্রতি চাঁদা দাবি করে টার্মিনালের কমিটি। চালকদের দাবি দেশে চাঁদাবাজি রোধে সরকার কাজ করলেও বুড়িমারী স্থলবন্দর মহাসড়কে দিন দিন চাঁদাবাজির হার বাড়ছে। ফলে ট্রাক চালকরা অতীষ্ট হয়ে পড়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর ট্রাক, ট্যাংলড়ী ও কাভার্ড ভ্যান চালক সমবায় সমিতির সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ‘স্থলবন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে অবৈধভাবে টাকা নেওয়া হয়। স্থানীয় চালকদেরকে পূর্বে টার্মিনালের নামে কখনও চাঁদার টাকা দিতে হয়নি। এখন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি চালকদের মারধর করা হয়। প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করি। সঠিক বিচার না হলে আমরা অনির্দ্দিষ্ট সময়ের জন্য সড়ক অবরোধের ডাক দিব।’
বুড়িমারী ট্রাক টার্মিনালের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘চাঁদাবাজি নয়। ম্যানুয়াল অনুযায়ী যে চালান কাটা হয় স্থানীয় চালকরা সে টাকা দিবে না। এই দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করছে। এখনও প্রশাসনের লোকজন রয়েছে।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার অবরোধের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যাতে কোন বিশৃঙ্খলা বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে এজন্য মহাসড়ক ও টার্মিনালে পুলিশ রয়েছে। আমরা গাড়ি চালক ও টার্মিনালের লোকজনদের সাথে কথা বলছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে।’

 

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি