UAE-e1403563718729

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি ভবনে আগুন লেগে দশ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে, যার মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানিয়েছেন।সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আগুনে পুড়ে ১০ জন নিহত হন। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোরে এই ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শুক্রবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বলেন, আবুধাবির কাছেই শিল্পনগর মোসাফফাহ এলাকার টায়ার নির্মাণকারী একটি প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। এতে আট-নয়জন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। নিহত লোকজনের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা এখনো নিশ্চিত নই। দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।

দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর তিনটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত লোকজনের মরদেহ আবুধাবি শেখ খলিফা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তাদের দেহ সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের বাড়ী বাড়ী চট্রগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরের দিকে আবুধাবির শিল্পনগরী মুজাফায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ওই ভবনের নিচতলায় একটি টায়ার তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের কর্াালয় ছিল। আর ওপরের তলাগুলোতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিকরা থাকতেন।প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

আমাদের দূতাবাসের লোকজন সেখান গেছে। পোড়া বডিগুলো চেনার উপায় নেই। এখন পর্ন্ত আমরা তিনজন বাংলাদেশির কথা জানতে পেরেছি।তবে তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি মন্ত্রী।নিহতদের লাশ আবুধাবির শেখ খলিফা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও প্রায় ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই ভবনে আগুন লাগে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে এখনো উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। ফলে বিস্তারিত তথ্য পেতে দেরি হচ্ছে।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত বাংলাদেশি শ্রমিকদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য।সরকারি হিসাবে বর্তমানে ১২ থেকে ১৫ লাখ বাংলাদেশি আমিরাতে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। ২০১৩ সালের জুন মাসে শারজায় একটি কীটনাশক তৈরির কারখানায় আগুন লেগে ছয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। ২০১০ সালে দুবাইয়ে এক অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন আরও চার বাংলাদেশি।

আবুধাবিতে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা আমানুল্লাহ হাসপাতাল গিয়ে মৃতদেহগুলো দেখেছেন। কিন্তু সেগুলো এতোটাই দগ্ধ যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরে পরিচয় শনাক্ত করা হবে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের বসবাস। এক এক কক্ষে ৫ থেকে ১০ জন করে থাকেন।