9082_mathbaria pic..11

দৈনিকবার্তা-গৌরনদী, ৩০ মার্চ: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিভিন্ন হাট-বাজার, খাল ও সরকারী জমি দখলের পর এবার নদী দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যর আত্মীয়সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ঠ সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ম্যানেজ করে তারা দখল বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বেপরোয়া দখলের মহোৎসব চললেও ওই দখলদাররা এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস নেই সাধারণ জনগনের। তাই দখলদারদের কাজে অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বিভিন্নভাবে হয়রানীর আশঙ্কায় চোখের সামনে মুখ বুজে সহ্য করছেন সাধারণ জনগন।

সরেজমিন ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার একমাত্র নদী বন্দর পয়সারহাট সেতুর পূর্ব পাড়ে নদীর একটি অংশে পাইলিং ও ইট বালু দিয়ে ভরাটের মাধ্যমে দখলে করে ইট বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয় বাদশা বক্তিয়ার। দীর্ঘ দিনেও নদী খনন না করা ও পয়সারহাট নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের ফলে নদী মরে যাওয়ায় নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় ওই নৌ বন্দরে ঢাকা গামী লঞ্চ চলাচলে বিঘœসহ বিভিন্ন খালের স্রোত কমে যাওয়ায় ইরিগেশনের সমস্যা হচ্ছে। তার উপর দখলদারদের কারনেই নদী আরও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। একই নদীতে বাগধা হাটে নদীর পূর্ব পাড়ে নদী দখল করে পাকা ভবন নির্মান করছেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো.ইউনুসের বেয়াই কাদের মিয়া, মাওলা মিয়া ও ভায়রা আকবর মিয়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের একাধিব ব্যবসায়ী জানান, আগৈলঝাড়া বাজারের মধ্যে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মানের ফলে গলি ছোট হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি ঢুকিয়ে কাজ করতে না পারায় ক্ষতির অগ্নিকান্ডে ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-এমপি, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল আলম বন্দরের দোকান ও গলি নির্মানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশনা দিলেও সেই নির্দেশকে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে চলছে নির্মাণ কাজ। অবৈধ ওই নির্মাণ কাজে সরকার দলীয় কয়েক নেতা বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চলছে। উপজেলা সদর বন্দরের একমাত্র ঘাটলাটিও এখন দখলদারদের কারণে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে গেছে।

উপজেলা সদর ছাড়াও সাহেবেরহাট, গৈলার রথখোলা, ছয়গ্রাম বাজার, বাশাইল হাট, আস্কর কালীবাড়ি, দুশমীর হাট, রাজিহার বাজার, বারপাইকা করিম বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালী দখলবাজরা একটি মহলকে ম্যানেজ করে সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করে রাতারাতি বিক্রি করে দিচ্ছে। দখলকৃত জায়গা দখলবাজরা তদের পৈত্রিক, ক্রয়কৃত, ডিক্রি করা ইত্যাদি ব্যাখ্যা দিলেও জায়গার প্রকৃত মালিক কে তার কোন হদিস পাওয়া যায়না। দখলদারের অভিযোগ অস্বীকার করে কাদের মিয়া, মাওলা মিয়া ও আকবর মিয়া বলেন, ‘আমাদের জমি নদীতে ভেঙে চর পরেছে। সেই চরে স্থাপনা নির্মাণ করছি।এব্যাপারে উপজেলা সহকারী ভূমি (এসিল্যান্ড) এর অতিরিক্ত দ্বায়িত্মরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল বাগধায় গিয়েছিলাম। কাগজপত্র পর্যালোচনায় করে াাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নদী দখল করে বালুর ব্যবসার ঘটনাস্থ সম্পর্কে আমি অবগত নই।