Hanif

দৈনিকবার্তা-কুষ্টিয়া, ১০ জুন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘একান্ত আলোচনার’ বিষয়বস্তু প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।বুধবার কুষ্টিয়া পৌর মিলনায়তনে করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর একান্ত বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছিল জাতি সেটা জানতে চায়।বিএনপি নেত্রী বিষয়টি একটু খোলাসা করে বললে জাতি উপকৃত হবে।৬ জুন দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সফরে বেশকিছু চুক্তি ও প্রটোকল স্বাক্ষরের পাশাপাশি তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।খালেদা-মোদীর পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠকের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট দুই নেতা একান্তে কথা বলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে খালেদা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুধু বলেন, সুন্দর আলোচনা হয়েছে।আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদী আসার ১৫ দিন আগেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল এ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি হবে না। এটা তো এজেন্ডার মধ্যেই ছিল না। অতএব এটা হবে না সবাই জানে।নরেন্দ্র মোদির সফরে জাতি হতাশ নয় বরং উচ্ছ্বসিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার ১৫ দিন আগেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, এই সফরে তিস্তা চুক্তি হবে না। এটা তো এজেন্ডার মধ্যেই ছিল না। এটা হবে না সবাই জানে। যেটা হবে না, এজেন্ডায় নেই, সেটা নিয়ে বিএনপি বলছে, জাতি হতাশ হয়েছে। জাতি হতাশ হয় নাই। নরেন্দ্র মোদির সফরে জাতি উচ্ছ্বসিত।

তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক আরো উচ্চতার মাত্রায় পৌঁছেছে। ইতোমধ্যেই ছিটমহলসহ অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিস্তার পানি চুক্তি সমস্যারও সমাধান হবে, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত ফিরে যাওয়ার আগের বক্তব্যে বলে গেছেন।বিএনপি ও খালেদা জিয়ার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনি একবার ভারত সফরে গিয়েছিলেন। তার এজেন্ডার মধ্যে গঙ্গার পানি নিয়ে আলোচনা করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল। উনি সেই সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি গঙ্গার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। যে দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে ভুলে যান, সেই দলের নেতারা নরেন্দ্র মোদির সফরকে বাঁকা চোখে দেখবেন, বির্তকিত করার জন্য নানা বিভ্রান্তিকর কথা বলবেন -এটাই স্বাভাবিক।চুক্তি নিয়ে বিএনপি দলীয় নেতাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ২২টি চুক্তি হয়েছে তা পত্রিকায় এসেছে। এসব গেজেটে আছে, পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। এটি জাতি জানতে না পারার কোন কারণ নেই।হানিফ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জাতি খালেদা জিয়ার সাথে নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছিল সেটা একটু জানতে চায়। সেটা একটু খোলাসা করে বললে জাতি উপকৃত হবে।এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে, তিনি ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।