01বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় বাংলাদেশসহ আরও তিনটি দেশের অপরাধীরা জড়িত। এটি একটি ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম।

সিআইডির অরগানইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকি  বাংলার চোখকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুটের ঘটনায় জড়িত দেশী-বিদেশী চক্র জড়িত। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারাও জড়িত।

আবদুল্লাহেল বাকি বলেন, বাংলাদেশের তদন্ত শেষ হলে অন্য তিনটি দেশে- যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন ও শ্রীলংকায় তদন্ত শুরু হবে।

সিআইডির এ কর্মকর্তা জানান, রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়।

ঘটনা জানার পরও বিষয়টি গোপন রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

চুরি হওয়া অর্থ ফেরত আনতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান ফিলিপাইনের ব্যাংকো সেন্ট্রালের গভর্নর আমান্ডো টেটাংকো জুনিয়রের কাছে সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লেখেন। কিন্তু, দেশে তিনি এই ঘটনা চেপে যান।

এরপর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফিলিপাইনের দৈনিক দি ফিলিপিন্স ডেইলি ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির খবর জানায়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেও এ খবর এলে তোলপাড় শুরু হয়।

পরে গত ৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করে, দেশের বাইরে থেকে হ্যাকাররা অর্থ চুরি করেছে। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যেভাবে টাকা চুরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে।