আবার মুস্তাফিজ ঝলক, পুড়ল পাঞ্জাব!

মুস্তাফিজ ৪-১-৯-২!—-স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে ভোহরা রানআউট ধাওয়ান। খেলা না দেখে থাকলে সেটিই সত্যি মনে হবে। কিন্তু আজ ভোহরা তো আউট হলেন আসলে মুস্তাফিজ-জুজুতে। বোলিং-বৈচিত্র্যে বিভ্রান্ত মানান ভোহরা আউট হলেন তো মুস্তাফিজের বল খেলার কষ্ট থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে!

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং মানেই ষষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং। ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও। মুস্তাফিজের প্রথম বলেই এগিয়ে এসে হাঁকাতে গেলেন ভোহরা। অফ কাটার মিস করলেন। দ্বিতীয় বলে লেগসাইডে খেলতে গেলেন, এবারও অফ কাটার। তৃতীয় বলে কোনোমতে ব্যাটে লাগালেও রান পেলেন না। পরের বলটি ছিল ইয়র্কার, সেটি কীভাবে স্টাম্পে লাগল না সেটিই প্রশ্ন!

পঞ্চম বলটি যখন করতে দৌড় শুরু করলেন মুস্তাফিজ, ভোহরার তখন ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। প্রান্ত বদল করে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে যেতে পাগলপ্রায় ভোহরা ব্যাটে বল ছুঁইয়েই দৌড় দিলেন। কিন্তু শন মার্শ নিজে থেকে মুস্তাফিজের বল খেলতে চাইবেন কেন? ফিরিয়ে দিলেন ভোহরাকে, শিখর ধাওয়ানের সরাসরি থ্রোতে রানআউট!  কিন্তু এতেও বাঁচলেন না মার্শ। ১৪তম ওভারে ফিরলেন মুস্তাফিজ। প্রথম দুই বলে কোনো রান এল না। তৃতীয় বলে আবারও কাটার, বল বুঝতে পেরেও এলবিডব্লু মার্শ। পরের বলটি প্রায় ইয়র্কার, সেটি কোনোমতে ঠেকিয়ে দৌড় অক্ষর প্যাটেলের। অবশেষে মুস্তাফিজের বলে রান এল, দশম বলে! তৃতীয় ওভারটি খালি হাতেই ফিরতে হলো, কোনো উইকেট পেলেন না। তাঁর বল যে খেলতেই পারছিলেন না পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা। কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে যে ক্যাচ আউট হবেন, সে সুযোগই মিলছিল না। ব্যাটেই যে বল লাগাতে পারছিলেন না তাঁরা!

শেষ ওভারে তৃতীয় স্পেলে বল করতে এলেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলেই ২ রান! আজকের মুস্তাফিজের বলে ২ রান যে বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। একটু আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিখিল নায়েক পরের বলেই হাঁকতে গেলেন। ফল? বল আকাশে, হেনরিকসের তালুবন্দী। পরের বলে প্যাটেলও বিভ্রান্ত। না অফ কাটার ছিল না, ১৪০ কিমি ছোঁয়া গতিই এবার বিভ্রান্ত করল তাঁকে। পরের তিনটি বল একেবারেই মুস্তাফিজসুলভ ছিল না। ৩ বলে ৪ রান! আজকের মুস্তাফিজের সঙ্গে যে একেবারেই যায় না। সব মিলিয়ে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার ৪-১-৯-২।

তবে আবারও বোলিং পরিবর্তনে অনভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। মুস্তাফিজের এমন বোলিংয়ের পরও পাঞ্জাব ১৪৩ রান করতে পারল তো সেই কারণেই।