জেলা পরিষদ নির্বাচন সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জোটের নেতা জাগপা’র সভাপতি সফিউল আলম প্রধানকে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা শফিউল আলম প্রধান অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে দেখতে যান সেখানে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরোক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করায় তা অগণতান্ত্রিক বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। জেলা পরিষদ নির্বাচন অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক তাই এ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি -এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না।তিনি আরো বলেন, ভোটের আগেই ২২টি জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।এছাড়া এ নির্বাচনে টাকার খেলা ও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব- সংঘাত হয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রশাসনের অনুমতি পেলে পাঁচ জানুয়ারি গণতন্ত্রের হত্যা দিবস পালন করবে বিএনপি।

রাজধানীর পূর্ব আশকোনার এক বাড়ি থেকে পুলিশের অভিযানে পর আহত অবস্থায় উদ্ধার শিশুটির ক্ষত-বিক্ষত ছবি দেখে বেদনা প্রকাশ করে তার বাবা-মা জঙ্গি কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পত্রিকায় একটা ছবি আছে, যে ছবি দেখে আমার সমস্ত অন্তর আত্মা কেঁপে উঠেছে। একটা চার বছরের শিশু গ্রেনেডে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে। কেন? জঙ্গি আক্রমণ হয়েছে।মা জঙ্গি হচ্ছেন, বাবা জঙ্গি, জানি না সত্য কী, কী অবস্থা জানি না। কিন্তু চার বছরের শিশু এক নির্বাক শক্তিদৃষ্টি দিয়ে সে হাসপাতালে পড়ে আছে। এই অবস্থা চলছে দেশে এখন।দক্ষিণখানে হজ ক্যাম্পের কাছে ‘সূর্যভিলা’ নামের বাড়িতে শনিবার ভোররাতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য।

অভিযানের এক পর্যায়ে পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকালে চারজন আত্মসমর্পণ করলেও এক নারী, এক কিশোর ও শিশুটি ভেতরে থেকে যায়।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, অন্যান্য ধর্মের ওপরেও আঘাত আসছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।আজকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি-ঘর ভেঙে দিচ্ছে, মন্দির ভেঙে দিচ্ছে, বৌদ্ধদের মঠ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, খৃষ্টানদের গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। সাঁওতালদেরকে তাদের বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের প্রতি, কোনো ধর্মের প্রতি তাদের সম্মানবোধ নেই, তারা দায়িত্ব পালন করতে চায় না। কেউ নিরাপদ নয় এই দেশে।