কাওড়াকান্দি ঘাট কাঠালবাড়িতে স্থানান্তর হচ্ছে আজ রবিবার (১৫ জানুয়ারি)। এজন্য খুলে দেয়া হচ্ছে পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত জাজিরা এপ্রোজ সড়কের শিবচর-কাঠালবাড়ি অংশ। যান চলাচলে বেড়ে যাবে গতি, কমবে দূরত্ব ও ভোগান্তি। বদলে যাচ্ছে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটের গতিপথ ও সীমানা। নতুন করে নাম হচ্ছে কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। একই সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের নাম। এখন পদ্মা নদী পাড় হতে সময় লাগবে পৌনে এক ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা। এতে খুশি নৌযান মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণ।

জানা গেছে, এতদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বল্প দূরত্বের কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে চলাচল করে আসছিল। এই নৌরুটের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। লঞ্চ ও ফেরিতে নৌ-যানের কার্যক্ষমতা ভেদে পদ্মা পার হতে সময় লেগেছে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। আর শুস্ক মৌসুমে নদীর নাব্য সংকটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চর এবং ডুবোচর জেগে ওঠায় প্রায়ই ফেরি আটকে ঘন্টার পর ঘন্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণকে। যাত্রী ভোগান্তি লাঘবে এই দীর্ঘ নৌপথের দূরত্ব কমিয়ে আনতে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছিলেন বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর ৮ জানুয়ারী সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী উদ্বোধন করে খুলে দেন পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত জাজিরা এপ্রোজ সড়কের শিবচর-কাঠালবাড়ি অংশ। চিরচেনা কাওড়াকান্দি ঘাট ১৫ জানুয়ারী সরিয়ে নেয়া হচ্ছে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ‘কাঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরি ঘাটে’। কাওড়াকান্দি থেকে ৮কিলোমিটার দূরে কাঠালবাড়িতে এখন চলছে টার্মিনাল, পল্টুন, আন্তঃসংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ। নদীতে জেগে উঠা চর কেটে নদীকে প্রশস্ত করা হচ্ছে। গভীরতার জন্য নদীতে করা হচ্ছে ড্রেজিং। নদী পারাপারে এই ৮ কিলোমিটার পথ কমার ফলে একদিকে যেমন যাত্রী ভোগান্তি কমবে। অন্যদিকে নৌযানগুলোর জ্বালানি খরচও বাঁচবে অনেক। নৌ-পথের দূরত্ব কমায় দুর্ভোগ কমবে বলে আশা যাত্রী, নৌযান মালিক-শ্রমিকদের। নৌপথ কমে সড়ক পথ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাওড়াকান্দির ঘাটের দীর্ঘ যানজট কমবে, সেই সাথে নতুন ঘাট থেকে ফেরি পারাপার হবে ১৫ জানুয়ারী থেকে জানান বিআইডব্লিউটিসি’র কাওড়াকান্দি ঘাটের ম্যানেজার মো.আব্দুস সালাম ।মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্ব^াস বলেন, বর্তমানে এই নৌরুট কুমিল্লা নামের আরো একটি ফেরি যুক্ত হওয়ায় প্রতিদিন ১৮ফেরি, ৮৬লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পিডবোট দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পারাপার করবে।