গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের গাড়ি বহর গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলা এবং আহত করার অভিযোগে শনিবার রাতে গাজীপুরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন সৌরভ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রবিন, অনিক সরকার, নাজমুল করিম, রবিন হোসেন, তামিম, লিয়াকত হোসেনসহ ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৫০-৬০ কে।

অপর দিকে গাড়ি ভাংচুর, সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ আহত করায় জয়দেবপুর থানার এসআই মোঃ সাইদুর রহমান খান বাদি হয়ে ২৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ৭০-৮০জনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। জয়দেবপুর থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ১০জনকে রবিবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনের তারিখ দ্রুত ঘোষণার দাবিকে কেন্দ্র করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ ও তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা শনিবার দুপুরে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর গাড়ির যাত্রা পথে বেরিকেড দেয়। এনিয়ে কলেজের ছাত্রলীগের দু’পক্ষের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় তারা ভাংচুর করে। ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গাজীপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সৌরভসহ অন্ততঃ ১০ জন আহত হন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পর ঐ দিন বিকেলে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ ১১জনকে আটক করে।