নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা প্রভাষ রায় হত্যা মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয়জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার রোববার সব আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।দন্ডিত আসামিরা হলেন- নড়াইল সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান মিনা ওরফে শহিদ (৫২), তার ভাই মো. ইলিয়াছ মিনা (৫৬), সাহিদুর রহমান মিনার ছেলে মো. আশিকুর মিনা ওরফে আশিক (২২), মোশারফ মিনার ছেলে মো. রাসেল মিনা (৩০), হাতেম মোল্লার ছেলে বাশার মোল্লা (৩০), মোশারফ মোল্লার ছেলে রবিউল মোল্লা (২৫), আটেরহাট এলাকার হারান মোল্লার ছেলে এনায়েত মোল্লা (৫৩), পইলডাঙ্গা এলাকার মতিয়ার মোল্লার ছেলে ইয়াসিন মোল্লা (২৪) ও মুসা মিনার ছেলে মামুন মিনা (২৮)।

মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বলে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক জানান।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের মে মাসে নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবিদুর রহমানের পক্ষে কাজ করেন প্রভাষ রায়। কিন্তু ভোটে জয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাহিদুর রহমান।নির্বাচনের পর সাহিদুরের সমর্থকরা প্রভাষ রায়ের বাড়ি ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় প্রভাষ রায় চেয়ারম্যান সাহিদুর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর জেরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

২০১৭ সালের ১ ফেব্রয়ারি বিকালে প্রভাষ রায় শহরে সরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে মীরাপাড়া বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান ফকিরের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ওই সময় আসামিরা প্রভাষ রায়ের ওপর হামলা করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে চলে যায়।পরে বাজারের লোকজন প্রভাষকে নড়াইল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রভাষ মারা যান।নিহতের স্ত্রী টুটুল রানী রায় ওইদিনই সাহিদুর রহমান মিনাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গতবছর ২২ ফেব্র“য়ারি নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ভবতোষ রায়।বাদীপক্ষে ১৬ জনের স্বাক্ষ্য শুনে বিচারক রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে পিপি এনামুল হক জানান।