এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে অবশ্যই নিরাপত্তার দায়িত্ব ভবন মালিককে নিতে হবে।

শুক্রবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিয়ে এফ আর টাওয়ার পরিদর্শনে এসে মেয়র এসব কথা বলেন। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন ও রাজউকের কাজের মধ্যে সমন্বয় নেই। আর এ সমন্বয়হীনতার কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। এখন থেকে আমরা অ্যাকশনে নামব।

আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন বহুতল ভবনের আনুষঙ্গিক কাগজপত্র রাজউকের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে সব ভবনকে কাগজপত্র দিতে হবে। এসব হাতে পেলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান শুরু করবে। অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেয়র আতিক বলেন, অফিসগুলোকে জানতে হবে তারা যেখানে অফিস নিচ্ছে সেখানে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না।

আতিকুল ইসলাম বলেন,এখন থেকে নিজের নিরাপত্তা নিজেরা বিবেচনা করে দেখবেন। অফিসে ঢোকার আগে দেখে নিন, আগুন লাগলে বের হওয়ার বিকল্প পথ আছে কি না।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের পর কথা বলার আর সময় নেই। এখন সময় অ্যাকশনের। সব সংস্থাকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে চাই। এই ভবনগুলো কীভাবে পারমিশন পেলো, ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে কীভাবে ২৩ তলা হলো সেগুলো আমরা দেখবো। মেয়র বলেন, এই অনিয়ম মেনে নেওয়া যেতে পারে না। এখন কথা বলার সময় নেই, অ্যাকশন নেওয়ার সময়।

অ্যাকশনের উদাহরণ দিতে গিয়ে আতিক বলেন, রাজধানীর ভবন মালিকদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনে তাদের ভবনের অনুমোদন, নকশা, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটির অনুমোদনের কাগজ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছি। সেগুলো দেখে আমরা মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবো। এছাড়াও আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে ভবনে যাবেন। পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেদন দেবেন আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ দুর্ঘটনার দায় এই ভবনের মালিক এবং অফিসগুলোর কর্তাব্যক্তিদের নিতে হবে জানিয়ে আতিক বলেন, আমাদের যেসব ভাই-বোন এসব অফিসে চাকরি করেন তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব অফিস মালিকদের, ভবন মালিকদের। তারা এই দায় এড়াতে পারেন না। আর আপনারা যারা চাকরি করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, অফিসে প্রবেশের আগে আপনারা দেখুন আপনার অফিসের বিল্ডিং সেফটি আছে কিনা, ফায়ার সেফটি আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে অফিসে প্রবেশ করবেন না।