প্রায় আগে ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিজের এলাকায় শিবির ক্যাডারদের ব্রাশফায়ারে নিহত হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা হত্যাকান্ডের রায়ের দিন পিছিয়ে গেল। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ তথা দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কাযক্রম শেষ হয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আগামি ২০ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয় বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, আমরা আশা করছি সেদিন আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে। যদিও দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছেন নিহতের পরিবার, আতœীয়-স্বজন এবং দলীয় নেতাকর্মীরা।

নিহতের পরবিার ও আদালত সূত্র জানায়, বিগত ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলাধীন ছড়ারকুল এলাকার একটি সেলুনে শিবির ক্যাডারদের ব্রাশফায়ারে নিহত হওয়ার পরদিন আলী মর্তুজার বড় ভাই ফতেয়াবাদ আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী নাসের চৌধুরী হাটহাজারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আলোচিত ওই হত্যাকা-ে আসামি করা হয়েছিল ৮ শিবির ক্যাডারকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৪ সালে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে ওই ৮জনকেই অভিযুক্ত করা হয়।

আসামিদের মধ্যে ঘটনার পর থেকে এই মামলার প্রধান আসামি শিবির ক্যাডার হাবিব খান থেকে পলাতক রয়েছে। জামিনে গিয়ে পলাতক আছে মো. হাসান ও মো. ইসমাইল। এছাড়া র‌্যারের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় সন্ত্রাসী গিট্টু নাসির, গণপিটুনিতে আইয়ুব আলী ওরফে রাশেদ এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যায় সাইফুল ইসলাম। শিবির ক্যাডার তছলিম উদ্দিন ওরফে মন্টু ও মো. আলমগীর ওরফে বাইট্টা আলমগীর কারাগারে আছে।

এদিকে অভিযুক্ত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে মামলার বাদি নিহত আলী মর্তুজার বড় ভাই আলী নাসের চৌধুরী এবং ছোট ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকেদের বলেন, রায়ের অপেক্ষায় দেড় যুগ অতিবাহিত হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১৮টি বছর ভাই হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে আমরা দিন কাটাচ্ছি। আজ (মঙ্গলবার) বহু কাঙ্খিত রায়ের দিন ছিল। আজ সেই ঘৃণ্য আসামি শিবির ক্যাডারদের সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে রায়ের দিন পরিবর্তন হওয়ায় আমরা হতাশ। তবুও আমরা এটুকুই আশা করছি সব আসামিকে বিজ্ঞ আদালত মৃত্যুদন্ড দেবেন।