নেপালে ২২ জন যাত্রীবাহী একটি বিমান নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর এক তল্লাশি এবং উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘তারা এয়ারের’ এই ছোট্ট বিমানটি নেপালের পর্যটন শহর পোখরা থেকে পশ্চিমের শহর জমসমে যাচ্ছিল। তারা এয়ারের একজন মুখপাত্র সুদর্শন বারটাউলা বলেছেন, বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে চারজন ভারতীয়, দু’জন জার্মান এবং ১৬ জন নেপালি নাগরিক ছিলেন। বিশ্বের সপ্তম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ঢউলাগিরি পর্বতের কাছে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত এটির অবস্থান ছিল এখানে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, নেপালি সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দশ জন সৈন্য এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দুজন কর্মকর্তাকে নিয়ে সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে নেমেছে। বলা হচ্ছে, নেপাল টেলিকম দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের পাইলটের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এটির অবস্থান সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছে।

তারা এয়ারের সুদর্শন বারটাউলা জানান, সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটে এটি আকাশে উড়ে। এতে তিন জন ক্রু ছিলেন। কিন্তু আকাশে ওড়ার পনের মিনিট পর এটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর নেপালে নিখোঁজ সেই বিমানের খোঁজ মিলেছে। বিমানটি একটি নদীর কাছে বিধ্বস্ত হয়। নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে ।

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ন সিলওয়াল এএনআইকে জানিয়েছেন, তারা এয়ারের নিখোঁজ বিমানটি লামছে নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়। এটি মানপতি হিমালে ভূমিধসের কবলে পড়েছে। নেপাল সেনাবাহিনী স্থল ও আকাশপথ দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বিমানটিতে কোন যাত্রী বেঁচে নেই।

তারা এয়ারের ওই উড়োজাহাজটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। ৯এন-এইটি বিমানটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে উড়োজাহাজটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।