বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবার তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে কাজী সালাহউদ্দীনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইমরান হোসেন তুষারকে।

সোমবার নির্বাহী কমিটির মিটিং শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এছাড়াও দুর্নীতি তদন্তে ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাসহ বাংলাদেশি মুদ্রায় তাকে প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধ অভিযোগ, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার অর্থের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এই শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফিফার সাধারণ আর্টিকেল ১৫ (দায়িত্বে অবহেলা), ১৫ (সততা) ও ২৪ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

শুক্রবার দেয়া নিষেধাজ্ঞার আগে আবু নাঈম সোহাগকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ফিফা। সেই জবাব দিতে সশরীরে ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যান তিনি। তবে তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি ফিফা। পরে সংস্থাটির স্বাধীন নৈতিক কমিটির মাধ্যমে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে।

যদিও শনিবার ফিফার রায়কে ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে এর বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় আবু নাইম সোহাগের আইনী সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ হোসাইন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ফিফার নিষেধাজ্ঞা ত্রুটিপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক। এছাড়াও এই নিষেধাজ্ঞা ফুটবল ফেডারেশনের সম্মানহানির চেষ্টা বলেও দাবি করা হয়। এর বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করা হবে।