934dcb1cd0d37cf396678f76abbae408-bd-bnp

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ জুন: বর্তমান সরকার ঘোষিত বাজেটকে কল্পনা বিলাসী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছেরর বাজেটে জনগণের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না। সরকার ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়নে সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। যা অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় উঠে এসেছে। বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পথ সম্প্রসারিত হবে।

বাজেট প্রকাশের আগের দিন অর্থমন্ত্রী একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎ কারে বলেছেন,‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি শেষ’ এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. রিপন বলেন, রাবিশ, বোগাস, অর্বাচীন লোকের পক্ষেই এ জাতীয় বক্তব্য শোভা পায়।এসময় অর্থমন্ত্রীকে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সহযোগী বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এ মুখপাত্র।ড. আসাদুজ্জামান বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত একটি জাতীয় দৈনিকের সাথে সাাৎকারে ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি শেষ (ফিনিশড্) অফিসিয়ালী তিনি এখন আর কেউ নন’ বলে যে মন্তব্য করেছেন তা একজন সাবেক স্বৈরাচারের সহযোগীর পইে মানানসই। জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন জারীর পরপরই মুহিত সাহেব দু’বছর তার অর্থমন্ত্রীত্ব ভোগের সময় ভেবেছিলেন-রাজনীতিকরা শেষ। ৮৮-৯০ সালে এরশাদ যখন প্রধান দলগুলোর বয়কটে পাতানো ইলেকশন করেন, হয়তো তখনও ভেবেছিলেন খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার রাজনীতিও শেষ। বাস্তবিকই কি তা হয়েছিল ? দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান, তিন তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার শীর্ষে যাঁর অব¯’ান তাঁকে এবং তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে মাল মুহিতের এধরণের রাবিশ বক্তব্য কেবল কোন অর্বাচিন বালকের মুখেই মানায়।তিনি বলেন, ‘রাবিশ’ ‘বোগাস’ খ্যাত পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী মাল মুহিত সাহেব মন্ত্রীত্বের সুখে দিবাস্বপ্ন দেখছেন এই ভেবে যে, খালেদা জিয়ার রাজনীতি শেষ! ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র, অক্সফোর্ডের পাবলিক এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন পড়–য়া এই ব্যক্তিটি নিজ দলে ও সরকারের সহযোগী মন্ত্রীদের কাছেও বহুবার নিন্দিত-সমালেচিত হয়েছেন তার ভারসাম্যহীন কথাবার্তার জন্য।

ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বিনা ভোটে এমপি-বোনাসে মন্ত্রীত্ব বহাল থাকায় মুহিত সাহেব ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। অবশ্য তিনি মাঝে মধ্যে সত্যও বলে ফেলেন নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে। আজ যে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বেহাল দশা-তাতে তার অবদান সবচেয়ে বেশী। তার ব্যর্থতা-নির্লিপ্ততায় হলমার্ক কেলেংকারী, বেসিক ব্যাংক-সোনালী ব্যাংকে যে লুটপাট হয়েছে-তার জন্য তিনি বহুলাংশেই দায়ী। এসব লুটেরাদের ডাকাত বলতে দ্বিধা করেননি তবে তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি বোধগম্য কারনেই। পরপর সাতবার বাজেট উত্থাপনের তৃপ্তিতে ঢেকুর তুলেছেন বটে। বিনা ভোটের সংসদে যে অবাস্তবায়নযোগ্য বিশাল আকারের বাজেট উত্থাপন করেছেন তাতে তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই, কারন সুশাসন এখন শুন্যের কোঠায়।

রিপন বলেন, ভাগাভাগির সংসদে বিএনপি নেই। কারন বিএনপি ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। বিএনপি কেবল অবাধ নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধি বাছাই করার মতায় দেশ পরিচালনার নীতিতে বিশ্বাসী। বর্তমান সংসদে কোন বিরোধী দল নেই। তথাকথিত বিরোধী দল সরকারের অংশ হওয়ায় আজ জনগণের পে কথা বলা হয়না এ সংসদে। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল হওয়ার কারনে জনগণের পে কথা বলতেই হয়।তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সম্পুরক বাজেটসহ আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একটি বাজেট ঘোষনা করেছেন-যাতে ৯৭ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসহ মোট ২ লাখ ৯৫ হাজার ১শ কোটি টাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।

ড. আসাদুজ্জামান বলেন,এই ঘোষিত বাজেটে ৮৬ হাজার ৬ শত ৫৭ কোটি টাকা ঘাটতি দেখানো হয়েছে-যার পুরোটাই ঋণনির্ভর। ব্যাংকিং খাত থেকে ৩৮,৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হবে। এ ঋণের সুদ-উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকৃত খরচের চেয়ে বেশী বর্তাবে। জরাগ্রস্ত ব্যাংকিং ব্যব¯’ায় এতো টাকার ঋণ গ্রহণ করা ব্যাংকিং খাত দুর্বল হয়ে পড়বে এবং বেসরকারী খাতের বিনিয়োগে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া ৪১,৫৬৮ কোটি টাকার অতিরিক্ত করের বোঝা চাপবে জাতির কাঁধে। আগামী অর্থবছরের জন্য ১ লাখ ৮২ হাজার ২ শ ৪৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত করও দিতে হবে জনসাধারণকে।

বিপুল বাজেট ঘাটতি কিভাবে মেটানো হবে সে ব্যাপারে ঘোষিত বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশ থেকে সরকার ঋণ নেবে ৩২ হাজার ২ শ ৩৯ কোটি টাকা, সেখান থেকে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করে প্রকৃত প্রাপ্তি দাঁড়াবে আসলে ২৪,৩৩৪ কোটি টাকা।

ড. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রকৃতপক্ষে এই বাজেট এতটা অবাস্তব যে তা বাস্তবায়ন দু:সাধ্য। অর্থমন্ত্রী প্রবৃদ্ধির ল্য অর্জনে যে কথা বলেছেন-বাস্তবতা তা নয়। রাজনীতিতে ¯ি’তিশীলতা বহাল থাকলেও, অবকাঠামোর দুর্গতি, গ্যাস-বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা-বিদেশী বিনিয়োগ কাংতি ল্েয পৌঁছার কোন কারন নেই। জিডিপি’র মাত্র এক শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগে প্রবৃদ্ধি অর্জন অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এছাড়া সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সুশাসনের অনুপ¯ি’তিতে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি তো দুরে থাক, বর্তমান অব¯’াও ধরে রাখা কঠিন।তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলের শেষ বছর প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশ থাকলেও, এরপর থেকে সেটা ক্রমেই নিম্নগামী হয়েছে। বিশাল অংকের বাজেটে যে উচ্চাভিলাষী রাজস্ব আদায়ের ল্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে-সেটা আদায় করা অসম্ভব বলে অর্থনীতিবিদগণ ইতিমধ্যে অভিমত প্রকাশ করেছেন। যেখানে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের ল্যমাত্রা অর্জিত হয়নি সেখানে আরো ৩০ শতাংশ বেশী রাজস্ব আদায় করা কঠিন হবে বৈকি। অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতে অর্থের যোগান দেয়াও কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। তাছাড়া অর্থমন্ত্রী’র বাজেট বক্তৃতায় এ বিশাল বাজেট কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন তার কোন সুস্পষ্ট ঘোষনা পাওয়া যায়নি। এই কথামালার বাজেটে সাধারণ মানুষ কি পেল বা পাবে সেটার বহি:প্রকাশ খুবই কমই ঘটেছে।

ড. আসাদুজ্জামান বলেন, যেমন জ্বালানী খাতে ৬.৩ পারসেন্ট বরাদ্দের কথা থাকলেও-এ বিনিয়োগ-ব্যয়ের স্বচ্ছতার কোন দিক চিহ্ন নেই। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জ্বালানী তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমায় দেশেও তার সমন্বয় করা হবে। কিন্তু বাজেট বক্তৃতায় এর প্রতিফলন না থাকায় জনগণ হতাশ হয়েছে। জ্বালানী তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশের মানুষ এর কোন সুফল ভোগ করছেনা। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশলে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার ইউনিটগুলোতে যে ভর্ত্তুকী দেয়া হয়-বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় ঐসব বেসরকারী কোম্পানীগুলোর সাথে সরকারের চুক্তি পূণ:মূল্যায়ন করা উচিৎ ছিল। অথচ আশ্চর্যের বিষয় বিদ্যুৎ কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে সরকার উচ্চমূল্যের সময় বিদ্যুতের ইউনিট যে মূল্যে ক্রয় করেছে এখনও সেই মূল্যই দিয়ে যাচ্ছে জ্বালানী তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ার পরেও। এই প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কোম্পানীগুলোকে হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ অবারিত করে রেখেছে এই বাজেটেও।

স্বাস্থ্যখাতে ৪.৩ পারসেন্ট বরাদ্দ মোটেই যথেষ্ট নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতেও এ বরাদ্দ অন্তত: ৬ পারসেন্ট করা যেতে পারতো মানুষের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে। অথচ তারা তা করেনি। স্বাস্থ্যখাতের ব্যাপক লাগামহীন দুর্নীতিতে স্বাস্থ্যসেবা খাত আজ ধ্বসে পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় অতি সম্প্রতি ৪০০ কোটি টাকার একটি দুর্নীতির খবর পত্রিকায় এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র করে। যেখানে ৩২০ টাকার একেকটি মেডিকেল বই ৮৮ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। ডাকাতি কাকে বলে ! কারণ দেখার কেউ নেই। এধরণের লুটপাট-ডাকাতি বহাল থাকলে ৪.৩ পারসেন্ট বরাদ্দের কতটা প্রকৃতভাবে মানুষ পাবে- তা ভেবে দেখার বিষয়।ড. আসাদুজ্জামান বলেন, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ আরো বেশী প্রয়োজন ছিল। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। নানামূখী শিাব্যবস্থা মানবসম্পদ উন্নয়নে-সমন্বয়হীনতার এক বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত। দেশের সরকারী খাতের শিা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, নতুন শিা প্রতিষ্ঠান তৈরী, শিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবীটি উপেতি হয়েছে এই বাজেটেও।

সরকার এডিপি’র নামে যে টাকা বরাদ্দ রেখেছে-সাধারণত: গত কয়েক বছরে দেখা গেছে তার প্রায় অর্ধেক টাকা ব্যয় করতে তারা ব্যর্থ হয়। গত ১৪-১৫ অর্থবছরের ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ বাস্তবায়নে তারা ব্যর্থ হয়ে এই জুনের মধ্যে তা শেষ করতে চায়। এতে করে প্রকল্পগুলোতে কাজের চেয়ে দুর্নীতি বেশী হওয়ার পথকে প্রশস্ত করা হয়েছে। এডিপি’র আকার প্রতি বছর বৃদ্ধি পেতে থাকে কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায়ই ব্যর্থ হতে দেখা যায়। এছাড়া সামাজিক সুরা-দারিদ্র বিমোচনসহ যেসকল কল্যানমূলক প্রকল্প নেয়া হয়-এই খাতে বরাদ্দকৃত টাকা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে খুব কমই পৌঁছে এবং তা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে চলে যায়। এ বছরও এসব খাতে যে বড় অঙ্ক বরাদ্দ করা হয়েছে-বাস্তবায়নে স্ব”ছতা রাখার কোন কৌশল সরকার প্রনয়ণ না করায় এর সিংহভাগ শাসকদলীয় সুবিধাভোগীদের পকেটে চলে যাবে।

ড. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিবারই বাজেটে কিছু অগ্রাধিকার থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এসব অগ্রাধিকার খাত বাস্তবায়নের চিত্র খুবই হতাশাজনক। এক বছরের অগ্রাধিকার খাত অবাস্তবায়িত রেখে আবারও নতুন বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই চিত্র আর একই ব্যাখা-যা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। গত ছয় বছর ধরে চলতে থাকা এ চিত্র আদৌ বদলাচ্ছে না।অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের চিত্র বিশ্লেষণে আমরা দেখতে পাই-গত ছয় বছরেও চুড়ান্ত হয়নি কয়লা নীতি ও জ্বালানী নীতি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারী-বেসরকারী অংশীদারী (পিপিপি) কাঠামো শক্তিশালী দুরের কথা, এখন পর্যন্ত আইনটি পাশ করতে পারেনি সরকার। পূর্বের অঙ্গীকার অনুযায়ী দুষণমুক্ত হয়নি বুড়িগঙ্গা নদী, গড়াই নদীও পূণ:খনন হয়নি। ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনাকেও ডিজিটাল ব্যবস্থায় আনার পুরনো প্রতিশ্র“তিও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার বড় কথা বলা হলেও-তা বাস্তবে দেখা যায়নি। ই-গভর্ন্যান্স এর আওতায় সব সরকারী দপ্তরকে সমন্বিত তথ্য প্রযুক্তির নেটওয়ার্কের আওতায়ও সরকার আনতে ব্যর্থ হয়েছে-অথচ এ খাতে এ বছরও বড় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।ড. আসাদুজ্জামান বলেন, নিরীক্ষা আইন সাত বছর ধরে খসড়া পড়ে আছে। ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল আইন এক বছর ধরে মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পরে আটকে আছে। প্রতিযোগীতা কমিশন দু’বছরেও গঠিত হয়নি। পিপিপি -শুধুই আলোচনায়, আইন পাশ হলো না এ পর্যন্ত।

বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এ সরকারের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ব্যবসা পরিবেশ আগের মতোই, কোনই উন্নতি নেই।সমন্বিত কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতের আওতায় প্রতি গ্রামে অন্তত: একটি জলাশয় সংস্কার ও সংরণ করবে বলে ছয় বছর ধরে বলে আসলেও এর কার্যক্রম সরকার এখনও শুরু করেনি।

জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের আওতায় জাতীয় পুষ্টি কার্যকম কর্মসূচিকে ১৩২টি উপজেলায় সম্প্রসারণের কথা শুনছি তিন বছর ধরে। কিন্তু বাস্তবে এর কিছু নেই। প্রতি বাজেটে একই অগ্রাধিকার খাত থাকছে। বাস্তবায়ন করতে না পেরে সরকার তাই চালিয়ে যাচ্ছে।স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ঘাটতির এই বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী জাতিকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, বাস্তবায়নে বছর শেষে তা দু:স্বপ্নে পরিণত হবে বলেই আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কোন সুখবর নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়বে। ঘোষিত বাজেটকে কোনভাবেই জনবান্ধব বলা যাবে না।বাজেটে ৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকারের সমতা নিয়েও প্রশ্ন সকলের। ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বেসরকারী খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। বিনিয়োগের জন্য দরকার দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সুশাসন, দুর্নীতি ও লুটপাটমুক্ত সরকারী প্রতিষ্ঠান-যার সবকিছুই দেশে আজ অনুপস্থিত।দেশে বিনিয়োগ-শিল্পায়নের এই খরায় নেই কর্মসংস্থান, নিজের দেশে কর্ম সংস্থানের সুযোগ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার লোক অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, সাগরে ভাসছে। বিদেশের মাটিতে বনে জঙ্গলের গণকবরে এই দুর্ভাগা মানুষদের লাশ-কঙ্কাল আবিস্কারের প্রতিদিনের খবরে জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জা লুকাবার জায়গা নেই মন্তব্য করেন ড. আসাদুজ্জামান ।