বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফনের চার দিন পর চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ শেষ অব্দি যাচ্ছে তার পারিবারিক কবরস্থানে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়ার আদেশে লাশটি কবর থেকে তুলে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। এর আগে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ চেয়ে মধুপুর থানায় আবেদন করা হলে পুলিশ সে আবেদন আদালতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া লাশ কবর থেকে তুলে ভিকটিমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিববন্ধন পরীক্ষা দিয়ে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে বগুড়া থেকে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন ভিকটিম। পথে টাঙ্গাইলের মধুপুরে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত পাওয়া যায়। অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি মামলাও করা হয়। এদিকে, মেয়েটির পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।এরপর গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে তরুণীর বড় ভাই ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন এবং বুধবার (৩০ আগস্ট) তিনি পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের আবেদন করেন।